নয়াদিল্লি: বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কানপুর। পাথর ছোঁড়া, দোকান ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে। পরবর্তী সময়ে নূপুরকে পদ থেকে বরখাস্ত করে বিজেপি সরকার। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। বিশ্বের একাধিক এ নিয়ে কূটনৈতিক স্তরে ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলছে। চাপে পড়ে গিয়েছে মোদী সরকার। তাদের তরফ থেকে স্পষ্ট জানান হচ্ছে যে, নূপুরের বক্তব্য তারা সমর্থন করে না। কিন্তু অস্বস্তি কমছে না, বরং বাড়ছে। কারণ এবার আফগানিস্তানের তালিবান সরকারও ‘কথা শোনাতে’ ছাড়ল না ভারতকে। বিরোধীরা একে চরম লজ্জাই বলছে।
আরও পড়ুন: হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, সাসপেন্ড বিজেপির মুখপাত্র
কাতার, ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কুয়েত-সহ ইসলামি দুনিয়ার একাধিক দেশ ইতিমধ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে। এবার আফগানিস্তানের তালিবান সরকারও ‘একহাত’ নিল ভারতের মোদী সরকারকে। টুইট করে তালিবান মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ লিখেছে, ভারতের শাসক দলের নেত্রী যেভাবে ইসলাম বিরোধী মন্তব্য করেছেন তার নিন্দা করছেন তারা। তাঁর ওই মন্তব্যে মুসলিমদের ভাবাবেগ আহত হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে যাতে নূপুরের বিরুদ্ধে মোদী সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেয় সেই অনুরোধও করা হয়েছে তালিবানের তরফে। যদিও ইতিমধ্যেই বিজেপি সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বিজেপি সমস্ত ধর্মকে সমান চোখে দেখে। ভারতে আদিকাল থেকে সমস্ত ধর্মের সমন্বয় দেখতে পাওয়া গিয়েছে। কোনও ধর্ম ও ধর্মীয় ব্যক্তির অসম্মানজনক মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করছে তারা।
প্রসঙ্গত নূপুরের মন্তব্যের পরেই কানপুরে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা দেখতে পাওয়া যায়। কানপুরের প্যারেড মার্কেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় স্থানীয় সংখ্যালঘূ সংগঠন। কিন্তু সেই নির্দেশ মানতে অস্বীকার করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এরপরেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। নূপুর নিজেও অবশ্য তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং মন্তব্য ফিরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু তাতে যে বিশেষ কিছু লাভ হয়নি, তা স্পষ্ট।