নয়াদিল্লি: দেশের সর্বোচ্চ আদালত তথা সুপ্রিমকোর্টেও জোর ধাক্কা খেলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্র ১৬ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়কের দল থেকে সাসপেন্ড করার যে আর্জি নিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সেই আর্জিও শুক্রবার খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, উদ্ধব ঠাকরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই ১৬ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়কের দল থেকে সাসপেন্ড করার আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। সেক্ষেত্রে শিন্ডে এবং বিরোধী বিধায়কদের বিরুদ্ধে সেনাপ্রধান হুইপ জারি করে সাসপেনশন মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়েছিলেন। শিন্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি দেশের সংবিধানের ১০ নম্বর সিডিউল ভঙ্গ করছেন। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো শিবসেনার পক্ষ থেকে এই মামলা লড়ছেন বর্ষিয়ান আইনজীবী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। কিন্তু বর্ষিয়ান এই আইনজীবীর যাবতীয় চেষ্টার পরেও এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে আপত্তি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন এই মামলা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, ‘আমরা কেউ চোখ বন্ধ করে বসে নেই। ১১ জুলাই এই নিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।’ এরপর কপিল সিব্বলের প্রশ্ন ছিল, বিধায়কদের উপর হুইপ জারি করার ক্ষেত্রে শিবসেনার কোন অংশ কী ভূমিকা পালন করবে? বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং জেবি পারদিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ আইনজীবীকে আশ্বস্ত করে জানায়, এই বিষয়টি আমরা ১১ জুলাই বিচার করব।
উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে বড়সড় রাজনৈতিক ধাক্কা খেয়েছে শিবসেনা। উদ্ধব ঠাকরের মুখ্যমন্ত্রীর গদি গিয়েছে এবং বৃহস্পতিবার সেই গদিতেই মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বসেছেন একনাথ শিণ্ডে। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন একনাথ, অন্যদিকে দলীয় কর্মীদের অনুরোধে মহারাষ্ট্রের নতুন সরকারের ডেপুটি চিফ মিনিস্টার তথা উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন দেবেন্দ্র ফোড়নবিশ। যদিও মনে করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় নির্দেশেই ইচ্ছা না থাকলেও শেষমেশ মারাঠা সরকারের হাল ধরতে বাধ্য হয়েছেন দেবেন্দ্র। কারণ বৃহস্পতিবার বিকেলেই জানা যায় যে মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেবেন্দ্রকেই দেখতে চান জেপি নাড্ডা, অমিত শাহের মত একাধিক হেভিওয়েট বিজেপি নেতৃত্বরা। কিন্তু তারপরেও দেবেন্দ্র জানিয়েছিলেন যে তিনি সরাসরিভাবে মহারাষ্ট্র সরকারের অংশ হতে চান না। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই মহারাষ্ট্রের পরবর্তী ডেপুটি চিফ মিনিস্টার হিসেবে দেবেন্দর নাম ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।