শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে সন্তানদের নিয়ে স্কুলের পথে এক পিতা, চোখে জল নেটিজেনদের

শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে সন্তানদের নিয়ে স্কুলের পথে এক পিতা, চোখে জল নেটিজেনদের

52488fb2b390ee7c9b32847cc112b122

নয়াদিল্লি:  ‘বাবা’৷ এই ছোট্ট শব্দটির আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে গোটা দুনিয়া৷ একজন সন্তানের কাছে তাঁর মা-বাবাই তাঁর দুনিয়া৷ মাথার উপর বাবার হাত সন্তানের জীবনের সবচেয়ে বড় ছায়া৷ বাবা-মায়ের ভালোবাসার সঙ্গে দুনিয়ার আর কোনও কিছুর তুলনা হয় না৷ সেই ভালোবাসার ছবিই নেট  দুনিয়ায় ভাইরাল৷ যা দেখে চোখে জল নেটিজেনদের৷ 

আরও পড়ুন- ধর্মীয় প্রার্থনাস্থল আইনের সংশোধন চেয়ে ফের মামলা সুপ্রিম কোর্টে

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিয়ো৷ তাতে দেখা গিয়েছে, বিশেষ ভাবে সক্ষম এক পিতা তাঁর তিন চাকার সাইকেলের পিছনে বসিয়ে স্কুলে পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁর ছোট্ট মেয়েকে৷ এই ছবি হৃদয় ছুঁয়েছে মানুষের৷ বাবা-মেয়ের প্রতি ভালোবাসা উজার করে দিয়েছেন নেট নাগরিকরা৷ 

টুইটারে ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন আইএএস অফিসার সোনাল গোহেল৷ ভিডিয়োর ক্যাপশনে লিখেছেন ‘বাবা’৷ সেই সঙ্গে হাত জোড় করে নমস্কারের একটি ইমোজি৷ দিয়েছেন হৃদয়ের ইমোটিকন৷ ওই ভিডিয়োটিতে ছিল আরও চমক৷ বিশেষ ভাবে সক্ষম ওই পিতা তাঁর তিন চাকার সাইকেলের পিছনে বসিয়ে শুধু মেয়েকে স্কুলেই পৌঁছে দিচ্ছিলেন না, তাঁর কোলে ছিল ছোট্ট একটি ছেলে৷ দুই সন্তানকে নিয়ে হাতের চাপে সাইকেল এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি৷ এই ভিডিয়োর নীচে এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘খুব সাধারণ হলেও ভিডিয়োটি মন ছুঁয়ে গিয়েছে৷’

বাবা-মায়ের হাত ধরে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যখন স্কুলের পথে পাড়ি দেয়, তখন তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে এক আবেগ৷ যা মনকে বিগলিত করে৷ বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের এই আবেগময় বন্ধন মনকে সিক্ত করে তোলে৷  এই ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পরেই একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার লিখেছেন, “কোনও কোম্পানি কি বিশেষ ভাবে সক্ষম এই মানুষগুলোর জন্য কম খরচে তিন চাকার গাড়ি তৈরি করতে পারে? যা হবে নিরাপদ একই সঙ্গে পরিচালনা করাও হবে সহজ৷’’

কমেন্ট আরও এসেছে৷ এক ইউজার লিখেছেন, ‘‘দুনিয়ার নজরে এই ভিডিওটি অসাধারণ এবং স্পর্শকাতর৷ কিন্তু ভিডিয়ো ক্লিপটিতে যাঁদের দেখা যাচ্ছে, তাঁদের কাছে এটা খুবই সাধারণ৷ আসলে মহানতা সরলতার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে।’’ অপর এক ইউজার লিখেছেন, পৃথিবীর কেউ বাবা-মায়ের জায়গা নিতে পারবে না।  অপর এক জন লিখেছেন, ‘‘আজকের জেনারেশন বাবা-মাযের গুরুত্ব বোঝে না।’’