নয়াদিল্লি: নীচে গভীর নদী৷ উপরে সেতুর উপর দাঁড়িয়ে ট্রেন৷ যান্ত্রিক গোলযোগে আচমকাই থেমে গিয়েছে ট্রেনের চাকা৷ এয়ার লিকেজ হচ্ছে কী? তড়িঘড়ি সেটা দেখা খুবই দরকার৷ কিন্তু কী ভাবে সেতুর উপর দিয়ে যাবেন কর্মীরা? এরই মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে ট্রেনের তলায় ঢুকে পড়লেন এক রেলকর্মী৷ কী কারণে গোলযোগ, তা খতিয়ে দেখতেই এগিয়ে যান তিনি৷ রেল মন্ত্রকের তরফে এই ভিডিয়োটি টুইট করা হয়েছে৷ সেখানে এও দাবি করা হয়েছে, ট্রেন যাত্রা স্বাভাবিক রাখতে কী ভাবে জীবনের ঝুঁকি নেন রেল কর্মীরা৷
আরও পড়ুন- অ্যাকটিভ কেস ৮০ হাজারের বেশি! চতুর্থ ঢেউ কি দেশের দোরগোড়ায়
রেলের পক্ষে জানানো হয়েছে, ওই রেলকর্মীর নাম গণেশ ঘোষ। তিনি সহকারী লোকো পাইলট পদে রয়েছেন। তবে তিনি কোথায় কর্মরত রয়েছেন সে প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রকের টুইটে কিছু উল্লেখ করা হয়নি৷ তবে ওই টুইটে তুলে ধরা হয়েছে গণেশের সাহসিকতার কথা৷ দেখানো হয়েছে তাঁর সাহসিকতার সেই ভিডিয়ো।
রেল মন্ত্রকের তরফে টুইটে বলা হয়েছে, ‘রেল যাত্রীদের সেবা ও সুরক্ষার জন্য আমরা দায়বদ্ধ। রেলসেবকেরা দিনরাত যাত্রীদের রক্ষার জন্য কাজ করেন। তারই একটা উদাহরণ গণেশ ঘোষের এই সাহসিকতা। সেতুর উপর দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের নীচে হামাগুড়ি দিয়ে এয়ার লিক পরীক্ষা করে দেখেন তিনি৷’ এর পর সেই এয়ার লিকটি সারিয়েও দেন গণেশ ঘোষ৷
यात्रियों की सेवा और सुरक्षा में समर्पित।
Railsevaks are committed to serve its passengers 24×7. An exemplary display of courage by Ganesh Ghosh, ALP who crawled under the coaches of halted train on a bridge & rectified air leakage issue that helped resume the journey. pic.twitter.com/9ZdkXBYacY
— Ministry of Railways (@RailMinIndia) June 20, 2022
রেল কর্মীর এই কর্তব্যপরায়ণতা দেখে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে এতদিন অনেকেরই ধারণা ছিল, রেলের চাকরি অত্যন্ত সুরক্ষিত। এখানে কোনও ঝুঁকি নেই। তবে রেলমন্ত্রকের পোস্ট করা ভিডিয়ো দেখে রীতিমতো শিউরে উঠছেন অনেকেই।
মাস কয়েক আগের ঘটনা৷ এক সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট সতীশ কুমার নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের অ্যালার্ম চেন নব সারানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। মুম্বই থেকে প্রায় ৮০ কিমি দূরে তিতওয়ালা থেকে খাদাভালি রুটে যাচ্ছিল ট্রেনটি৷ সেই সময় আচমকা এক যাত্রী চেন টানেন৷ এর পরেই ট্রেনটিও একটি সেতুর উপর দাঁড়িয়ে পড়ে এবং সেটি খারাপ হয়ে যায়৷ তখন সতীশ কুমার একই ভাবে হামাগুড়ি গিয়ে ট্রেনের নীচে ঢুকে নবটি সারিয়েছিলেন৷ সে কারণেই রেলের তরফে বারবার বলা হয়, অত্যন্ত প্রয়োজন না পড়লে অ্যালার্ম চেন টানবেন না৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>