কলকাতা: সমস্ত জল্পনার অবসান। কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন না ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। মঙ্গলবার ট্যুইট করে জানালেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজওয়ালা। ট্যুইটারে তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেসের তরফে তাঁকে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। তবে তিনি দলের জন্য যে পরামর্শ দিয়েছেন, তাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে একাধিকবার কংগ্রেসের হাই কমান্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রশান্ত কিশোর। তারপর থেকেই প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগদানের জল্পনা বাড়তে থাকে। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পুনরুদ্ধারের রোডম্যাপ এঁকে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর বলে জানা গিয়েছে। এত আলোচনার পরেও কংগ্রেসের হাত ধরলেন না পিকে। প্রশান্ত কিশোরের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে বলেই অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। তবে প্রশান্ত কিশোরকে দলে নেওয়া নিয়ে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল। একদিকে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, আম্বিকা সোনির মতো নেতা নেত্রীরা প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসের যোগদানের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু অন্যদিকে, রণদীপ সিং সুরজওয়ালা, জয়রাম রমেশের মতো নেতারা চাননি, প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগ দিক।
জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের পুনরুদ্ধারের বিষয়ে ৬০০ স্লাইডের একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন তৈরি করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। এই প্রজেন্টেশন খতিয়ে দেখার জন্য কংগ্রেসের অভ্যন্তরে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, অম্বিকা সোনি, জয়রাম রমেশের মতো নেতারা ছিলেন। একদিকে, ২০২৪ সালে কংগ্রেসের পুনরুদ্ধার নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কংগ্রেসের কথা চলছিল। সেই সময় তেলেঙ্গানায় ২০২৩ সালের নির্বাচনে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সঙ্গে চুক্তি করে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক। ঘটনাটি মোটেই ভালোভাবে নেয়নি কংগ্রেস।