পাটনা: বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে নতুন করে আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গে ‘মহাগঠবন্ধন’ গড়েছেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। তাঁর এই সিদ্ধান্তে বড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। এই নিয়ে ৬ বার ‘বদলের সিদ্ধান্ত’ নিয়ে ফেলেছেন নীতীশ। এবার প্রশ্ন হল এতে কি লাভ হবে রাজনীতির? লাভ হবে বিহারের সাধারণ মানুষের? সকলের মতো এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান একদা নীতীশ-ঘনিষ্ঠ এবং ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। টুইটারে তিনি এই নিয়ে জনমত চেয়েছেন।
আরও পড়ুন- ভারত মহাসাগরে চিনা নৌবাহিনীর ঘাঁটি! উপগ্রহচিত্রে উদ্বেগে নয়াদিল্লি
টুইটার অ্যাকাউন্টে অনলাইন এই পোল শুরু করেছেন প্রশান্ত কিশোর। লিখেছেন, ‘গত ১০ বছরে সরকার গঠনের বিষয়ে এই নিয়ে ষষ্ঠ বার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালালেন নীতীশ। আপনাদের কি মনে হয়, এ বার বিহারের মানুষ লাভবান হবেন?’ তিনি অবশ্য নিজে এই জোট নিয়ে আশাবাদী নন বলেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। আগামী লোকসভা ভোট পর্যন্ত এই জোট টিকলেও তার পরে টিকবে না বলে অভিমত তাঁর। কিন্তু তিনি মানুষের রায়কেই মান্যতা দিতে চাইছেন সবথেকে বেশি। তাই এই পোল চালু করেছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। উল্লেখ্য, ২০২৫ সালে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন৷ তার আগে ২০২৪ সালে লোকসভা ভোট৷
पिछले 10 वर्षों में #NitishKumar जी का सरकार बनाने का ये छठवाँ प्रयोग है।
क्या आपको लगता है कि इस बार बिहार और यहाँ के लोगों का कुछ भला होगा?
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) August 19, 2022
এদিকে বিহারে পালাবাদল ঘটাতেই নীতীশ কুমারকে আক্রমণ শুরু করেছে বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘‘মেয়েরা যেভাবে তাঁদের প্রেমিক বদলান, নীতীশ তেমন ভাবেই শরিক বদলান’’৷ তবে তাঁর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নয়া বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন মহলে জোড় সমালোচনা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপিকে বিঁধে নীতীশের পাল্টা দাবি, মহারাষ্ট্রে শিবসেনার মতো বিহারে তাঁদের দলেও ভাঙন ধরাতে চেয়েছিলেন অমিত শাহ।