মমতার সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি? মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর

মমতার সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি? মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর

নয়াদিল্লি: আইপ্যাক ইস্যু নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। এই খবর কার্যত হইহই ছড়িয়েছিল চারিদিকে। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই বিষয় নিয়ে রীতিমতো কাটাছেঁড়া হয়েছে জাতীয় সংবাদমাধ্যমে। দাবি করা হয়েছিল, আইপ্যাক ইস্যুর জন্য প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক খারাপ হয়ে গিয়েছে। সত্যিই কি তাই? এই ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন খোদ প্রশান কিশোর। জবাব দিলেন সব প্রশ্নের।

আরও পড়ুন- ‘CBI তদন্ত চাইলেই বাপ-ছেলেকে খুন’, মাঝ রাতে ফোনে হুমকি আনিসের দাদাকে

একটি খবরের ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গোটা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রশান্ত জানিয়েছেন, সংবামাধ্যমে অনেক কিছুই বাড়িয়ে বলা হয় যা আদতে হয় না। এক্ষেত্রেও একই জিনিস হয়েছে। তিনি জানান, মমতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যেমন থাকার, তেমনই রয়েছে, কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। তাই মিডিয়ার রিপোর্টগুলি পড়ে এবং দেখে তিনি শুধু হেসেছেন। প্রশান্ত আরও জানিয়েছেন, এখন রাজ্যে ১০৮টি পুরসভার নির্বাচন রয়েছে। তার প্রেক্ষিতে আইপ্যাক কাজও শুরু করে দিয়েছে। তাই এই ইস্যুতে কোনও সমস্যা নেই। আর তিনি বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে এই কাজ করছেন। কারোর সঙ্গেই তাঁর সম্পর্ক খারাপ নেই বলেই দাবি করেছেন আইপ্যাক-এর প্রশান্ত কিশোর। তবে তাঁর বক্তব্য, সংবাদমাধ্যমে তাঁকে এবং তার টিমকে নিশানা করা হয়েছে।

তবে প্রশান্ত কিশোর যাই বলুন না কেন, বিগত দিনে যেভাবে এই ইস্যুতে বাদানুবাদ দেখা গিয়েছে তাতে কিছু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কী? আগামী দিনে আদৌ কি এক পথের পথিক হবে তারা? নাকি বিচ্ছেদ শুধু সময়ের অপেক্ষা? এই ধরণের প্রশ্ন অনেক৷ কিন্তু জবাব অধরা৷ উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের পর বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করতে আসেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর৷ লোকসভা ভোটে বিজেপির কাছে ধাক্কা খাওয়ার পর ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট ছিল তৃণমূলের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে নামেন পিকে৷ একুশের নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই থেকে ভোট কৌশল তৈরি, একাধিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *