নয়াদিল্লি: ভারতবিরোধী ভুয়া খবর প্রচার রুখতে ফের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ কেন্দ্রের। জানা যাচ্ছে, ভুয়া খবর প্রচার করে জাতীয় নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কারণে আরও ১৬টি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। এই ১৬ টি ইউটিউব চ্যানেলের মধ্যে ছয়টি আবার পাকিস্তান থেকে পরিচালিত হত বলে খবর এবং বাকি ১০টি ভারত থেকেই পরিচালনা করা হত। তবে এখানেই শেষ নয়, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য ওই ষোলটি ইউটিউব চ্যানেলের পাশাপাশি একটি জনপ্রিয় ফেসবুক অ্যাকাউন্টও কেন্দ্রের তরফ থেকে ব্লক করা হয়েছে বলে খবর। ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিও পাকিস্তান থেকে পরিচালনা করা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ভারত সরকারের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ‘সংশ্লিষ্ঠ ওই চ্যানেলগুলি আইটি বিধিমালা ২০২১-এর ১৮ নম্বর বিধি অনুসারে প্রয়োজনীয় তথ্য মন্ত্রণালয়ে সরবরাহ করেনি।’ মূলত সেই কারণেই চ্যানেলগুলিকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। এছাড়াও জানা যাচ্ছে ওই ষোলটি ইউটিউব চ্যানেলের মধ্যে অধিকাংশই নিউজ চ্যানেল যারা ভারতবিরোধী ভুয়া খবর সম্প্রচার করছিল। ওই ষোলটি নিউজ চ্যানেলের প্রায় ৬৮ কোটি দর্শক ছিল বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বন্ধ করা ওই ৬টি পাকিস্তান ভিত্তিক এবং ১০টি ভারতভিত্তিক ইউটিউব নিউজ চ্যানেলের দর্শক সংখ্যা ৬৮ কোটিরও বেশি। তারা মূলত দর্শকের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এবং সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে মিথ্যা এবং অযাচাইকৃত তথ্য ছড়াচ্ছিল।’ এর সঙ্গেই ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ‘এটি লক্ষ্য করা গিয়েছে ওই চ্যানেলগুলি জাতীয় নিরাপত্তা, ভারতের বৈদেশিক সম্পর্ক, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং জননিরাপত্তার মতো স্পর্শকাতর’ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভুয়া খবর ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। ভারতভিত্তিক কিছু চ্যানেল এক্ষেত্রে দেশেরই একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে বারবার সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ঘৃণার উদ্রেগ তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। কোনও সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি এবং জাতীয় শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার জন্যই এই ধরনের খবর প্রকাশ করা হচ্ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তাই ওই চ্যানেলগুলিকে অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।’