গান্ধীনগর: সেতু দুর্ঘটনার কেটে গিয়েছে প্রায় ৪০ ঘণ্টা। উদ্ধারকাজ চলছে নদী থেকে। এই অবস্থায় সেই অভিশপ্ত সেতু পরিদর্শন করতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল সহ একাধিক আধিকারিক। মূলত কোথা থেকে ব্রিজ খুলে পড়েছে সেটাই দেখতে চেয়েছেন মোদী। এছাড়া উদ্ধারকারীদের সঙ্গে দেখা করে কিছুক্ষণ আলোচনাও চালান তিনি। তারপর ঘটনাস্থল থেকে মোরবি সিভিল হাসপাতালে আসেন মোদী। সেখানে দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করেন।
আরও পড়ুন- গায়ের রং কালো করে দারিদ্র্যতার ভান, সমালোচনার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়
এই সেতুতে সাত মাস ধরে সংস্কারের কাজ চলছিল৷ সংস্কারের পর দিন কয়েক আগেই তা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। নতুন করে সেতু উদ্বোধন হওয়ার ৬ দিনের মাথায় এই বিপর্যয়। গত রবিবার সন্ধ্যায় ওই সেতুটিতে প্রায় ৫০০ জন উঠে পড়েছিলেন। সেতুর ওপর রীতিমতো লাফালাফি করছেন অনেকে। এর পরেই নদীর জলে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেতুটি৷ তবে এখন পর্যন্ত যা দেহ উদ্ধার হয়েছে সেটাই যে শেষ নয় তা বোঝা গিয়েছে। আশঙ্কা করা হয়েছে নদীর জলের তলার কাদায় অনেক দেহ আটকে আছে। সেই দেহ উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে মোদীর হাসপাতালে যাওয়া ইস্যু নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়েছে বিরোধীদের তরফে। তাঁদের বক্তব্য, রোগীরা অভিযোগ করেছেন যে হাসপাতালে ন্যুনতম সুবিধা নেই। পরিষেবা খুবই খারাপ। এদিকে প্রধানমন্ত্রী আসবেন বলে গোটা হাসপাতালে রং করা হয়েছে! কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টের তরফে এই অভিযোগ করা হয়েছে।