নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আজ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন বেলা ১২ টায় ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। বৈঠকের শুরুতেই বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই করোনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী তাঁদের আশ্বাস দিয়ে বলেন যে, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত ভালো জায়গায় রয়েছে তবে আরও সতর্ক হতে হবে। টিকাকরণে জোর দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- অপারেশন পরাক্রম থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জের মিশন, নয়া সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডের সেনা জীবন
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করতে সক্ষম ওমিক্রনের নয়া রূপগুলি। তাই আগে থেকে সতর্ক হতে হবে সকলকে। এর আগে রাজ্যগুলি যে কৌশল নিয়ে এগিয়েছিল সেগুলি ফিরিয়ে আনতে হবে। আগের ঢেউ গুলিতে প্রতিটি রাজ্য খুব ভাল ভাবে পরিস্থিতি সামলেছে। ভবিষ্যতেও একই কৌশল মেনে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, টিকাই করোনা প্রতিরোধের এক মাত্র উপায়, তাই টিকাকরণে জোর বাড়াতে হবে সব রাজ্যগুলিকে। বিশেষ করে পড়ুয়াদের টিকাকরণে আরও জোর দিতে হবে বলেই জানান মোদী। কারণ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্কুলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার খবরও উঠে এসেছে। পাশাপাশি তিনি এও জানান, কোথায় কোথায় করোনার সংক্রমণ বাড়ছে সেই দিকেও নজর রাখতে হবে এবং করোনা পরীক্ষাও বাড়াতে হবে।
একই সঙ্গে কী ভাবে বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, করোনা পরীক্ষার পর আক্রান্ত ব্যক্তিদের জিনের গঠনসজ্জা জানা প্রয়োজনীয়। করোনার নয়া রূপগুলিকে চিহ্নিত করতে যথেষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই প্রেক্ষিতে তিনি হাসপাতালের পরিকাঠামোর কথাও বলেন। জানান, আগের পরিস্থিতির তুলনায় হাসপাতালগুলিতে শয্যাসংখ্যা এবং অক্সিজেন মজুতের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।