নয়াদিল্লি: বিভিন্ন শব্দকে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করেছে সংসদ। এমন খবর নিয়ে সকাল থেকেই তোলপাড়। বিরোধীরা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ব্যাপকভাবে আক্রমণ করেছে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে। দাবি করা হয়েছে, মূলত যে শব্দগুলি প্রয়োগ করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করা হত ঠিক সেই সেই শব্দগুলিকেই বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ইস্যুতে সম্পূর্ণ উলটো কথাই বললেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। তিনি জানালেন, কোনও শব্দকেই ‘নিষিদ্ধ’ করা হয়নি সংসদে। তাহলে ব্যাপারটি কী?
আরও পড়ুন- বিধায়কের পরে কি এবার সাংসদরাও সঙ্গ ছাড়ছেন? উদ্ধবের বৈঠকে অনুপস্থিত বহু
লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা জানাচ্ছেন, অংসদীয় শব্দের তালিকা করা হয়েছে। আগেও এমন বই প্রকাশিত হত যেখানে এই তালিকা থাকত। এবার সেটাই ইন্টারনেতে প্রকাশ করা হয়েছে। কোনও শব্দই নিষিদ্ধ হয়নি শুধু অসংসদীয় শব্দগুলিকে একত্র করে মুছে ফেলা হয়েছে। এই বিষয়ে তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, সদস্যরা স্বাধীন ভাবে তাঁদের মতামত জানাতে পারবেন। কেউ কারোর অধিকার কেড়ে নেয়নি। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, এখানে এমন শব্দ আছে যা সরকার পক্ষের সাংসদও ব্যবহার করেছেন। পক্ষ নির্বিশেষেই শব্দ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
কোন কোন শব্দে লাগাম টানা হল তাহলে? জানা গিয়েছে, ‘নিষিদ্ধ’ হওয়া শব্দগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে ‘জুমলাবাজি’, ‘কোভিড স্প্রেডার’, ‘দাঙ্গা’, ‘দালাল’, ‘গদ্দার’, ‘গিরগিট’, ‘স্বৈরাচারী’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘নাটক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, এই ধরণের শব্দ আছে। অনেক ইংরাজি শব্দও বাতিল করা হয়েছে, তাদের মধ্যে আছে ‘ব্লাডশেড’, ‘ক্রোকোডাইল টিয়ারস’-এর মতো শব্দ। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন জানিয়েছেন, তিনি এই শব্দগুলি ব্যবহার করবেন। তাতে যদি তাঁকে সাসপেন্ড করাও হয় তাতেই তাঁর কিছু এসে যায় না। কারণ তিনি মনে করছেন, সাংসদদের ওপর হাস্যকর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যদিও এখন বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন খোদ স্পিকার।