ভণ্ডদের কাছে ‘ক্ষমাভিক্ষা’ নয়, সাফ জানালেন অধীর

ভণ্ডদের কাছে ‘ক্ষমাভিক্ষা’ নয়, সাফ জানালেন অধীর

নয়াদিল্লি: ভারতের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ সম্মোধন করে বিপাকে রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। বিজেপি, এসপির মতো একাধিক বিরোধী দল এই ঘটনায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর পাশাপাশি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর কাছ থেকেও নিঃশর্ত ক্ষমার দাবিতে সরব হয়েছে। যদিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চেয়েছেন অধীর চৌধুরী, কিন্তু তাতেও বিতর্কের ঝাঁঝ এখনও বহাল। এরমধ্যেই শুক্রবার ফের মুখ খুললেন অধীর চৌধুরী।

 অধীর চৌধুরী বিতর্ক প্রসঙ্গে সম্প্রতি বিজেপিকে নিশানা করে বলেছেন, ‘আমি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সময় নিয়েছিলাম। কিন্তু বিজেপি কেন সোনিয়া গান্ধীকে এর মধ্যে টানছে? আমি বিজেপিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে বলছি ক্ষমতা থাকলে এগিয়ে এসে আমার বিরুদ্ধে লড়াই করুন। কিন্তু আমাদের দলের কোনও নেতাদের টার্গেট করবেন না। আমি আবারও বলছি আমি যা বলেছি ভুল বলেছি। আমার হিন্দি ভালো নয়, কারন আমি বাঙালি, হিন্দি আমার মাতৃভাষা নয়। আমাকে সংসদে এ ব্যাপারে কথা বলতে দিন এবং এর ব্যাখ্যা দিতে দিন।’

 অধীর চৌধুরীর আরও দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিজেপির একাধিক নেতা-নেত্রী এরকমভাবেই ভাষার কারণে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন। এক্ষেত্রে অন্যতম হল মোদির করা ‘বেটি পটাও’ মন্তব্য। বছর দুয়েক আগে ভোটের প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ ফসকে, ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’-এর পরিবর্তে তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল ‘বেটি বাঁচাও বেটি পটাও’। সেই সময়ও প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উঠেছিল বিতর্কের ঝড়। সেই সমস্ত তথ্যই শুক্রবার সামনে এনে আরো একবার বিজেপিকে একহাত নেন অধীর।

উল্লেখ্য বুধবার বিকেলে সাংসদদের সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে বিরোধীদের একটি মিছিল যখন রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল তখনই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন অধীর। সেই সময়ই তাঁর মুখ ফসকে রাষ্ট্রপতির জায়গায় ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বেরিয়ে যায়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কংগ্রেসকে লাগাতার আক্রমণ করছে গেরুয়া শিবির এবং এই নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 1 =