নয়াদিল্লি: বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুষ্ঠান থেকে তিনি দাবি করেছিলেন যে, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জেলে গিয়েছিলেন তিনি। এই মন্তব্য করার পর থেকে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছিল দেশে। বিরোধীদের দাবি ছিল, এমন কোনও তথ্য তাঁরা আগে শোনেনি বা প্রধানমন্ত্রী নিজেও দেশের কোনও অনুষ্ঠানে তা ব্যক্ত করেননি। তাই সংশয় তৈরি হয়েছিল। এখন প্রধানমন্ত্রীর দফতরই বিষয়টি খোলসা করে দিল। তারা জানাল, মুক্তিযুদ্ধে জেলে ছিলেন মোদী, এমন কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই।
আরও পড়ুন- প্রতিবাদই সার, ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ হবেই! সাফ জানালেন RBI কর্তা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেমন দাবি করেছিলেন সেই প্রেক্ষিতে তথ্যের অধিকার আইনে একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে। তার উত্তরেই পিএমও সাফ জানিয়েছে, তাদের কাছে মোদীর গ্রেফতারি বা জেলবন্দি হওয়ার কোনও তথ্যই নেই! এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই তথ্য দিয়েই খবর করেছে এবং তার পর থেকেই বিরাট বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধীদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, ব্যাপারটি স্পষ্ট যে অন্য দেশে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মিথ্যে দাবি করেছেন এবং এতে ভারতের সম্মানহানী হয়েছে। এখন এতে বড় বিড়ম্বনায় পড়েছে নয়াদিল্লিও। কারণ আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগেই এই তথ্য অস্বস্তি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।
ঢাকায় সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অনেক অবদান রয়েছে। একইসঙ্গে তিনি সকলকে মনে করান যে মুক্তিযুদ্ধের সত্যাগ্রহে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে। তখন তার মাত্র ২০-২২ বছর বয়স ছিল এবং সত্যাগ্রহের শামিল হওয়ার জন্য তিনি জেল পর্যন্ত খেটেছেন।