নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার সংসদে যে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ সেই বাজেটে আয়করের ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন আনেননি তিনি। অপরিবর্তিতই রেখেছেন আয়কর কাঠামো৷ আয়কর ব্যবস্থাকে সরলীকরণ করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে৷ আর এই কাজটি তিনি করেছেন একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশ মেনে। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট কথা, বাজেটের আগে এই নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে ঠিক কী নির্দেশ?
আরও পড়ুন- #Budget2022: দেশজুড়ে খুলছে ‘টেলি মেন্টাল হেল্প সেন্টার’, বাজেটে মানসিক স্বাস্থ্য জোর
নির্মলা জানিয়েছেন, বাজেট পেশের আগে কর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্পষ্ট নির্দেশ ছিল যে, জনগণের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা কোনও ভাবেই চাপানো যাবে না। করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণের ওপর চাপ না বাড়াতেই নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি এবং সেই নির্দেশ মেনেই বাজেটে কর নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত বছরও এই একই নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কারণেই মধ্যবিত্তের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপেনি। গতকাল বাজেটে নির্মলা ঘোষণা করেছিলেন, ভ্রম সংশোধন করে করদাতারা রিটার্ন ফাইল করার জন্য দুই বছর সময় পাবেন৷ এছাড়া কো-অপারেটিভ সোসাইটির করের হার ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্টার্ট-আপ ব্যবসার ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, উদ্যোগপতিরা ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত, এক বছরের ‘ট্যাক্স ইনসেন্টিভ’ পাবেন। গ্লোবাল ট্রানস্যাকশনের উপরেও সারচার্জ কমানো হচ্ছে৷ বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে ব্যায়কে বিজনেস এক্সপেন্স হিসাবে দেখানো যাবে না৷ যদিও গতকাল যে বাজেট হয়েছে তাতে কর সংক্রান্ত বিষয়ে একদমই খুশি নয় মধ্যবিত্ত। এমনটাই অনুমান করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং এই বাজেট সম্পর্কে জানিয়েছিলেন, দেশের সকল মানুষের কাছে এই বাজেটের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এই বাজেট দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি যেমন ঘটাবে ঠিক তেমনই জন সাধারণ অনেক নতুন সুযোগ-সুবিধা পাবেন। মোদীর কথায়, আজকের এই বাজেট দেশে আরও পরিকাঠামো, আরও বিনিয়োগ, আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ এনে দিয়েছে। ভারতের আগামী প্রজন্ম এতে অনেক লাভবান হবে বলেই তিনি মনে করছেন। প্রধানমন্ত্রী মনে করছেন এই বাজেট সব দিক থেকেই সদর্থক।