গুয়াহাটি: এখনও অবধি দেশে বর্ষা প্রবেশ করেনি। তার আগেই ভাসছে অসম। গত কয়েকদি ধরে প্রবল বর্ষণে অসমের একাধিক জায়গা থেকে ভূমিধসের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বন্যার জেরে অসমে এখনও পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। অন্যদিকে, শনিবার অসমের দিমা হাসাও জেলায় জলের তোড়ে একটি সড়ক ভেঙে যায়। ওই রাস্তা কার্যত নদীতে পরিণত হয়েছে। অসমের ছয় জেলায় বন্যার জেরে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
অসমে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধার করতে সেনাবাহিনীকে নামানো হয়েছে। উদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। গত কয়েকদিন ধরে অসম ও মেঘালয়ের প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির জেরে অসমের একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি একটি সংবাদ সংস্থা ভিডিও প্রকাশ করেছে। যেখানে প্রবল জলস্রোতে রাস্তার একটা অংশ ভেঙে যায়। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সেই রাস্তা দিয়ে নদীর জল প্রবল স্রোতে বইতে শুরু করেছে। সংবাদ সংস্থার তরফে জনানো হয়েছে অসমের দিমা হাসাও জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ১২টি গ্রামে ভূমি ধস হয়। ভূমিধসে ধ্বংসস্তূপ চাপা পড়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ৮০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ১৪ মে পর্যন্ত ছয়টি জেলার ৯৪টি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। চাষের জমিগুলোও বন্যার জলে ডুবে গিয়েছে। ১৭৩২ হেক্টর জমি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অসমের শুধু কাচার জেলাতে ২১ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছরও বন্যার মুখে পড়েছিল অসম। ব্রহ্মপুত্র নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। ৫০ হাজারের বেশি মানুষ সেই সময় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। বহু মানুষ ও গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছিল বন্যার জেরে। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল কাজিরাঙা অভয়ারণ্য। বহু বন্যপ্রাণির মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।