মৌসম ভবন থেকে স্বস্তির বার্তা! কবে আসছে বর্ষা?

মৌসম ভবন থেকে স্বস্তির বার্তা! কবে আসছে বর্ষা?

নয়াদিল্লি: দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাপপ্রবাহ। সোমবারই দিল্লিতে তাপমাত্রা হাফ সেঞ্চুরি করেছে। দেশের বিভিন্ন কোনের মানুষ চাতক পাখির মতো বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছেন। তার মধ্যেই সুখবর শোনাল মৌসম ভবন। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই এবারে বর্ষা আসবে। 

দেশে বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময় ১ জুন। হাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, এবছরে নির্ধারিত সময়ের ছয় দিন আগেই বর্ষা ঢুকবে। ২৭ মে কেরলে বর্ষা ঢুকবে বলে মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে আন্দামান সাগরে মৌসুমী বায়ু ঢুকে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ‘দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু এবার দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও বঙ্গপোসাগরে ১৫ মে ঢুকবে বলে জানা গিয়েছে। মৌসম ভবনের মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, ২২ মে আন্দামানে বর্ষা ঢোকার স্বাভাবিক সময়। সেই সময়ের আগেই আন্দামানে বর্ষা ঢুকবে। 

মৌসম ভবনের তরফে বলা হয়েছে, চলতি বছরে বর্ষা স্বাভাবিক হবে। বছরের মোট বৃষ্টির ৭৫ শতাংশ বর্ষার সময় হবে। দক্ষিণের রাজ্যে বর্শা আসার স্বাভাবিক সময় ১ জুন। মৌসম ভবন জানিয়েছে, জুন থেকে সেপ্টেম্বরে বর্ষা স্বাভাবিক হবে। সব থেকে বেশি বৃষ্টি হবে জুলাই ও আগস্টে। এই দুই মাসে সারা বছরের ৭০ শতাংশ বৃষ্টি হবে। অন্যদিকে, জুন ও সেপ্টেম্বরে ১৫ শতাংশ বৃষ্টি হবে বলে জানা গিয়েছে। 

অন্যদিকে, প্রবল বর্ষণে অসমের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যে অসমের বন্যায় পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কয়েকজন নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। চলতি বছরে অসমের বন্যায় ৬৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ৩৯৯টি গ্রাম বিপর্যস্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অসমের কাছার জেলার পরিস্থিতি ভয়ানক। সেখানে ৪১ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অসমের বন্যার জেরে ২০৯.৬ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

প্রবল বৃষ্টির জেরে প্রতি বছর উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি বন্যার মুখে পড়ে। চলতি বছর প্রথমবারের জন্য বন্যার কবলে পড়েছে অসম। নগাঁওতে বন্যায় ফলে আটকে পড়া ৭০-৮০ জনকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার করেছে বলে জানা গিয়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে নগাঁওয়ের স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘বন্যায় আমাদের সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেল। বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন, রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন।’