শ্রীনগর: স্বাধীনতা দিবসের মাত্র তিন দিন আগে জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকায় ফের হামলা চালাল জিহাদিরা। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ গেল বিহারের এক পরিযায়ী শ্রমিকের। জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপোড়ায় ওই পরিযায়ী শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপত্যকায় পরপর দুবার নাশকতা হামলা চালাল জঙ্গিরা। এর আগে বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরী টাউনের কাছেই নিরাপত্তারক্ষীদের ঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। তাদের ছোঁড়া এলোপাথারি গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিন জওয়ানের। সেনার পাল্টা গুলিতে দুজন জঙ্গিও খতম হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কার্যত উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকা। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার মাঝরাতে ফের জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটলো বান্দি পোড়ায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আচমকা বান্দিপোড়ার সোদানারার সুম্বল এলাকায় হানা দেয় জঙ্গিরা। ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে আচমকা গুলি চালায় জেহাদিরা। গুলির শব্দ পেয়ে মহম্মদ আমরেজ নামের ওই পরিযায়ী শ্রমিক ঘরের বাইরে বেরোলে গুলি লাগে তাঁর। কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, আমরেজকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। জেহাদিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে চলতি সপ্তাহের প্রথম থেকেই জঙ্গি হামলা রুখতে তৎপর নিরাপত্তারক্ষীরা। সোমবার থেকেই জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে তল্লাশি অভিযান। আর তার জেরেই বুধবার পুলওয়ামা থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৩০ কেজি ওজনের বিস্ফোরক। নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে অল্পের জন্য বানচাল হয় জঙ্গিদের করা এক বড়সড় নাশকতা হামলার ছক। কিন্তু তারপর থেকেই উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক নাশকতা হামলা চালাচ্ছে জিহাদিরা। বৃহস্পতিবার সকালে তেমনই একটি হামলায় সুবেদার রাজেন্দ্র প্রসাদ, মনোজ কুমার, লক্ষণন ডি, ও নিশান্ত মালিক নামের তিন রাইফেলম্যান শহীদ হন। এরপরেই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বান্দিপোড়ায় জঙ্গিদের গুলিতে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ফলে পরপর দুদিনের এই জঙ্গি হামলায় উপত্যকার নিরাপত্তা নিয়ে কার্যত উদ্বেগ ছড়িয়েছে নিরাপত্তা মহলে।