গুয়াহাটি: কিছুদিন আগেই অসমের পুলিশ আধিকারিক জুনমনি রাভা নিজের হবু বরকে গ্রেফতার করেছিলেন। সারা দেশে সংবাদের শিরোনামে তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন লেডি সিংহম নামে। ঠিক যেন রূপোলি পর্দার চরিত্র। এবার সেই লেডি সিংহমকে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে জেলে যেতে হল।
গত বছর অক্টোবরে মহাসমারোহে বাগদান পর্ব সেরেছিলেন জুনমনি রাভা। রানা পোপাগের সঙ্গে তিনি বাগদান পর্ব সারেন।আগামী নভেম্বরে তাঁদের বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু তার আগে এপ্রিলে অনর্থ ঘটে। জুনমণি অসমের নাগাঁও জেলার সাব ইনস্পেক্টর। ওএনজিসিতে চাকরি ও ঠিকাদারির বরাত পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বাগদত্তার বিরুদ্ধে। এপ্রিল মাসে তিনি নিজে তাঁর বাগদত্তাকে গ্রেফতার করেন। এরপর রানা পোপাগের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত যত এগোতে থাকে অভিযোগের তির ঘুরে যেতে থাকে জুনমনির দিকে। তদন্তে জানা যায় রানা পোগাগ টাকা তুলতেন ঠিক কথা। কিন্তু তা জুনমনির জন্য। এরপরেই তদন্তকারী অফিসাররা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের দুই দিন পর তাঁকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। তাঁকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি অসমের মাজুলি জেলে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
তবে এই প্রথম নয়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও তিনি বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। বিহপুরিয়ার বিধায়ক অমিয়কুমার ভুয়ানের সঙ্গে তাঁর কথপোকথনের একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়ে যায়। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ওই এলাকার মানুষদের তিনি অকারণে হেনস্থা করছেন। সেটি নিয়েই বিধায়কের সঙ্গে তিনি কথা বলছিলেন। সেখানে তিনি বিধায়কের কাছ থেকে ধমক খান। বিতর্কের জের গড়ায় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা পর্যন্ত। তিনি বলেন, একজন জনপ্রতিনিধিকে সম্মান দিয়ে কথা বলা উচিত। তবে এবারের জল আরও দূর পর্যন্ত। এবার জুনমনি রাভাকে জেল পর্যন্ত যেতে হয়।