আহমেদাবাদ: নিজেকে ‘বিয়ে’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গুজরাটের তরুণী শমা বিন্দু। ১১ তারিখ সেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সব রীতি মেনেই! এই বিয়ের খবর শুনে স্বাভাবিকভাবেই হইহই পড়ে গিয়েছিল সব জায়গায়। গুজরাট তো বটেই, গোটা দেশ এমন বিয়ে দেখেছে কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। এই তরুণীর এমন বিয়ে নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়ে যায়। গুজরাটের বিজেপি নেত্রী সুনিতা শুক্ল স্পষ্ট নিদান দেন যে, এই বিয়ে তিনি হতে দেবেন না। কিন্তু শমা কারোর তোয়াক্কা না করেই নিজেকে বিয়ে করে নিল, তাও নির্ধারিত দিনের দু’দিন আগেই। ছবি ভাইরাল।
আরও পড়ুন- চোখের চিকিৎসা হয় দুবাইয়ে, বিদেশ যাত্রাায় ‘না’ ইডির, হাই কোর্টে গেলেন অভিষেক
বিজেপি নেত্রী সুনিতা শুক্ল জানিয়েছিলেন, এই বিয়ে মন্দিরে কিছুতেই হতে পারে না। এমন বিয়ে হিন্দু ধর্মের বিরোধী। তরুণীদের মধ্যে এমন বিয়ে শুরু হলে হিন্দুদের জনসংখ্যা কমে যাবে। কিন্তু সেই সব হুঁশিয়ারি পাত্তাই দিলেন না শমা। নিজের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন তিনি। কন্যাদান, সিঁদুরদান, অগ্নিসাক্ষী, মন্ত্র, সব রীতি মেনেই বাবা-মা, ১০ জন বন্ধুদের সঙ্গে নিয়েই নিজের বিয়ে সারলেন শমা। নিজের সিঁথিতে নিজেই সিঁদুর পরালেন। এমনকি, গায়ে হলুদ এবং মেহেন্দি অনুষ্ঠানও হয়েছে তাঁর। ঠিক দু’সপ্তাহ বাদে শমা যাবেন ‘হানিমুন’, তাও গোয়ায়।
আসলে বিন্দু জানান, বিয়ে দুটি মানুষের ভালোবেসে একসঙ্গে থাকার কথা বলে। আমি যদি নিজেকে ভালোবাসি, তাহলে নিজেকে বিয়ে করতে আপত্তি কোথায়? আর নতুন করে কিছু এরপর বলা যায় না। উল্লেখ্য, মনস্তত্ত্বের বিচারে এই ঘটনাকে সোল্যোগামি বলা হয়। এমন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শমা জানিয়েছিলেন, শুধু নিজের ইচ্ছাপুরণ করার জন্য এইভাবে নিজেকে বিয়ে করছেন না তিনি। তিনি আসলে বোঝাতে চান যে, মেয়েদের সর্বদা ছেলের দরকার হয় না, তারা স্বয়ংসম্পূর্ণ, পুরুষের উপর নির্ভরশীল নন। তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই তরুণীকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলতেও ছাড়েননি বিজেপি নেত্রী।