মিডিয়া ট্রায়ালে দেশের নাগরিকের মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে: হাইকোর্ট

মিডিয়া ট্রায়ালে দেশের নাগরিকের মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে: হাইকোর্ট

 

কেরল: সংবাদমাধ্যম অনেকক্ষেত্রে কোনও মামলা বিশেষ করে ফৌজদারি মামলায় অর্ধসত্য বা জল্পনা মিশ্রিত তথ্য পরিবেশন করে। এর ফলে সাধারণ মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় বলে হাইকোর্ট একটি পর্যালোচনায় জানিয়েছে। পাশাপাশি কেরল হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের ঘটনার জেরে সংবিধানের ১৯(ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সুরক্ষিত থাকছে না।

কেরল হাইকোর্ট একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘সংবাদমাধ্যম আালতের ক্ষমতা দখল করতে পারে না। সংবাদমাধ্যমের কোনও ব্যক্তিকে অপরাধী বা নিরপরাধ বলার কোনও ক্ষমতা নেই। আদালতে বিচারের বাইরে কাউকে অপরাধী বা নিরপরাধ বলা যায় না। আমাদের দেশের মৌলিক অধিকারগুলো প্রতিটি নাগরিকের জন্য নিশ্চিত করতে হবে। সংবাদমাধ্যমগুলো অনেকক্ষেত্রে তাদের আলোচনাসভায় বিচারের বানী শোনায়। যা সাধারণ মানুষের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে।’

আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, সাংবাদমাধ্যমে আলোচনা সভা সাধারণ মানুষকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। যখন বিচারক নিজেই সংবাদমাধ্যমের সমালোচনার শিকার হন, সাধারণ মানুষের দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা চলে যায়। অনেকক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যম ঠিক করে নেয় কে দোষী আর কে নিরপরাধ। রায় তার বিপরীতে গেলে বিচারব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিচারক সকলকে সংবাদমাধ্যমের আক্রোশের মুখে পড়তে হয়।

অভিনেতা দিলীপের ভগ্নিপতি সুরজের একটি আবেদনের  ভিত্তিতে কেরল হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে এই মন্তব্য পেশ করেছে। সুরজ জানিয়েছেন, তিনি ও অভিনেতা দিলীপ মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হয়েছেন। একটি সংবাদমাধ্যম সরাসরি দাবি করেছে, একটি খুনের ঘটনার ষড়যন্ত্রে তাঁরা সরাসরি যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি তাঁদের এক মহিলাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে মিডিয়া ট্রায়াল। এই ঘটনায় কেরল হাইকোর্ট তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। কেরল হাইকোর্ট রায়ে জানিয়েছে, অভিযুক্ত সংবাদমাধ্যম আগামী তিন সপ্তাহের জন্য আদালতের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও খবর সম্প্রচার করতে পারবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 + seventeen =