উপত্যকায় ফের কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা, জঙ্গি গুলিতে ঝাঁঝরা শিক্ষিকা

উপত্যকায় ফের কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা, জঙ্গি গুলিতে ঝাঁঝরা শিক্ষিকা

শ্রীনগর: উপত্যকায় ফের জঙ্গিদের হাতে খুন হলেন কাশ্মীরি পন্ডিত এক স্কুল শিক্ষিকা। জানা যাচ্ছে, জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাম এলাকার গোপালপুরা হাই স্কুলের এক স্কুল শিক্ষিকাকে সম্প্রতি জঙ্গীরা গুলি করে খুন করেছে। স্কুলের মধ্যে ঢুকেই জঙ্গিরা ওই শিক্ষিকাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় শিক্ষিকাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে জানা যাচ্ছে।

২০২১ সালের নভেম্বর থেকেই জঙ্গিদের বন্দুকের নিশানা হচ্ছেন একের পর এক কাশ্মীরি পন্ডিত এবং অমুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। দিন কয়েক আগেই জঙ্গিরা এক কাশ্মীরি পণ্ডিত যুবককে সরকারি অফিসে ঢুকে গুলি করে হত্যা করে। সরকারি অফিসে কর্মরত ছিলেন মৃত ওই কাশ্মীরি পন্ডিত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছিল উপত্যাকার বিভিন্ন এলাকায়। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুক কেন্দ্রীয় সরকার এই দাবি নিয়ে উপত্যাকার রাস্তায় নেমেছিলেন কয়েক হাজার স্থানীয় মানুষ এবং রাতভর রাস্তায় বসে চলেছিল সেই অবস্থান বিক্ষোভ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার ফের কাশ্মীরি পণ্ডিত ওই স্কুল শিক্ষিকাকে গুলি করে খুন করল জঙ্গিরা।

পুলিশ সূত্রে খবর মৃত হয় শিক্ষিকার নাম রজনী। তিনি কুলগাম এর গোপালপুর হাই স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। জঙ্গিরা স্কুলে ঢুকে ওই শিক্ষিকাকে গুলি করে খুন করেছেন বলে খবর। এই ঘটনা প্রসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘সাম্বা এলাকার এক হিন্দু শিক্ষিকা জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত জঙ্গিদের অবিলম্বে খুঁজে বার করা হবে এবং আপাতত ওই এলাকা পুলিশ ঘিরে রেখেছে।’

ইতিমধ্যেই শিক্ষিকা খুনের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোদি সরকারকে আরও একবার নিশানা করেছেন কাশ্মীরের পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁর দাবি বিজেপি সরকারের ধর্মীয় বিভাজনের কারণেই একের পর এক কাশ্মীরি পন্ডিতের উপর হামলা চালানো হচ্ছে এবং তাঁদের জীবনে এভাবে শেষ হচ্ছে। এই হামলা প্রসঙ্গে মঙ্গলবার মেহেবুবা মুফতি বলেন, ‘ভারত সরকারের দাবি কাশ্মীরে কোনও অশান্তি নেই। কিন্তু বারবার সাধারন মানুষকে লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলা হচ্ছে। এই ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং বিজেপি সরকারের মুসলিমবিরোধী নীতির ফলে বারবার এই ঘটনা ঘটছে।’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *