নয়াদিল্লি: রেলের টিকিট কাউন্টারে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো অনেকেরই নাপসন্দ৷ টিকিট কাটার জন্য তাই যাত্রীরা বেছে নিচ্ছেন ইউটিএস (UTS) মোবাইল অ্যাপকে৷ যার পুরো নাম Unreserved Ticketing System৷ রেলের ঘোষণার দৌলতে এই নামটা প্রায় সকলেরই জানা৷ এই অ্যাপের মাধ্যমে স্বচ্ছন্দ্যে টিকিট কাটতে পারেন যাত্রীরা৷ এখন অনেকেরই প্রশ্ন, ট্রেনে ওঠার পর কি এই অ্যাপ দিয়ে টিকিট কাটা যায়? বা হয়তো তাড়াহুড়ো করে টিকিট না কেটেই ট্রেনে উঠে পড়েছেন৷ সামনে টিটিই-কে দেখে তৎক্ষণাৎ এই অ্যাপে টিকিট কাটতে চাইছেন, সেটা কি সম্ভব ?
আরও পড়ুন- ২৬টি দেশের পতাকা চিনিয়ে বিশ্ব রেকর্ড ১৪ মাসের খুদের, কুর্নিশ নেটিজেনদের
সকাল ও সন্ধ্যের পর থেকে বড় বড় স্টেশনগুলিতে দেখা যায় থিক থিকে ভিড়৷ সকালে অফিস যাওয়ার তাড়া৷ আবার সন্ধ্যের পর থেকে বাড়ি ফেরার দৌড়৷ এর মাঝে টিকিট কাউন্টারের সামনে জমে লম্বা লাইন৷ সেই সময় কাজে আসে এই ইউটিএস অ্যাপ৷ ২০১৮ সালে এই অ্যাপ নিয়ে আসে ভাতীয় রেল৷ যা ডিজিটাল ইন্ডিয়া গড়ার পথে এক বড় পদক্ষেপ৷ এই অ্যাপ থাকলে কাউন্টারের ভিড় এড়ানো সম্ভব৷ এই অ্যাপ দিয়ে যাত্রীরা সাধারণ ট্রেন কিংবা লোকাল ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন৷ জেনারেল কামরার টিকিট ও প্ল্যাটফর্ম টিকিটও কাটা সম্ভব৷ এমনকী কাটা যাবে মান্থলিও৷
তবে যাত্রীরা যাতে ইউটিএস অ্যাপ অসাধু উপায়ে ব্যবহার করতে না পারেন, তার জন্য কিছু ব্যবস্থাও রয়েছে৷ স্টেশনের ভিতর বা ট্রেনের কামরায় বসে এই অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কাটাতে পারবেন না যাত্রীরা৷ যদি কেউ রেল স্টেশনের চার-পাঁচ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে থাকেন, তবেই টিকিট কাটতে পারবেন৷ কিন্তু যদি আপনি মনে করেন ট্রেনে উঠে বা টিটিই-কে দেখতে পেলে টিকিট কেটে নেবেন, তাহলে ওটি হচ্ছে না৷ কারণ, আপনি যখন রেল স্টেশন বা ট্রেনে থাকবেন তখন সেই এলাকাটি জিওফেন্সিংয়ের আওতায় পড়বে। ফলে সেখানে টিকিট কাটা সম্ভব নয়৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>