নয়াদিল্লি: চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। সংক্রমণ, মৃত্যুর হার নিম্নগামী হতে শুরু করায় করোনা বিধিনিষেধ অনেক রাজ্যে উঠেও গিয়েছে। কিন্তু তারপর থেকেই যেন আবার নতুন করে শঙ্কা বাড়তে শুরু করেছে। রাজধানী দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ভয় ধরাচ্ছে, আবার সেই প্রেক্ষিতেই অনেক রাজ্যে মাস্ক ফের বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। করোনা গিয়েও যেন যাচ্ছে না। এই অবস্থায় নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে চতুর্থ ঢেউ নিয়ে। তাহলে কি আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যেই করোনার নতুন ঢেউ আসছে? কী বলছেন গবেষকরা?
আরও পড়ুন- ২৬টি দেশের পতাকা চিনিয়ে বিশ্ব রেকর্ড ১৪ মাসের খুদের, কুর্নিশ নেটিজেনদের
দেশের করোনা পরিস্থিতি সার্বিকভাবে নিয়ন্ত্রণে মনে হলেও দিল্লির সংক্রমণ মারাত্মক বৃদ্ধি পেয়েছে বিগত কয়েক দিনে। তাই বিশেষজ্ঞরা ভয় পাচ্ছেন যে আবার না আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ভারতের করোনা কালে প্রথম থেকে সংক্রমণের শীর্ষে ছিল মহারাষ্ট্র। এখন আশঙ্কা, দিল্লি যেন তার জায়গা না নিয়ে নেয় নতুন করে। করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে উদ্বেগ ব্যাপক হারে বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, জুলাই-অগাস্ট নাগাদ আবার বাড়তে পারে সংক্রমণের হার। পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে তা বৃদ্ধি পাবে বলেই অনুমান। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে যে, নতুন দুই ধরণের ওমিক্রনের খোঁজ মিলেছে। সম্প্রতি তার বিএ.৪ এবং বিএ.৫ রূপ চিহ্নিত হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন যে এই কারণেই দিল্লির সংক্রমণ বাড়ছে।
কয়েকটি দেশে করোনার এই দুই রূপ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, এমনটাই দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাহলে কি বিপদ আরও বেড়ে গেল? ‘হু’ আপাতত এই নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে না। তারা জানাচ্ছে, এই প্রজাতিতে সংক্রমণের হার বেশি হলেও ভয়াবহতা মাত্রা খুব বেশি নয়। সেই রকম কোনও প্রমাণও এখনও পর্যন্ত কোথাও মেলেনি। কিন্তু যে হারে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে ইতিবাচক কিছু ভাবার অবকাশ হচ্ছে না।