নয়াদিল্লি: ওড়িশার উপকূলে দূরপাল্লার যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি-৫ পরীক্ষা করতে চলেছিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও) তা সফল হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই মিসাইল নিখুঁতভাবে প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটার দূরত্বের নিশানাকেও বাগে আন্তে পারবে। অত্যাধুনিক অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করতে বঙ্গোপসাগরকে ‘নো-ফ্লাই জোন’ বলে ঘোষণা করেছিল সরকার৷ সেই পরীক্ষা সফল হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘CBI যদি এত স্মার্ট হয় তাহলে…’ লালনের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা
আসলে এই মিসাইল নতুন প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি এবং আগের থেকে অনেক বেশি হালকা। এই ট্রায়ালে এটাই পরীক্ষা করে দেখা হল যে আদতে এই মিসাইল কতটা পারদর্শী এবং কতটা সক্ষম। যদিও এই মিসাইল পরীক্ষার আগে চিনের গতিবিধি নিয়ে সতর্ক ছিল ভারত। কারণ ভারত মহাসাগরে দেখা মিলেছিল সন্দেহভাজন চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজের৷ তবে ওড়িশা উপকূলে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা যথা সময়েই করতে সক্ষম হয়েছে দেশ। আসলে আন্দামান ও নিকোবর অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সম্পর্কে ভারত একটি ‘নোটাম’ (বিমান চলাচলে নিষেধাজ্জা জারি করে নোটিস) জারি করেছিল৷ এর মাত্র এক সপ্তাহ পরে চিনা জাহাজ ইউয়ান ওয়াং-৫-এর গতিবিধি নিয়ে এই খবরটি প্রকাশ্যে আসে।
উল্লেখ্য, অগ্নি-৫ হল ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংগঠন এর তৈরি একটি সলিড ফুয়েল (কঠিন জ্বালানি) এর ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিশাইল। ২০১২ সালের ১৯ এপ্রিল ওড়িশার হুইলার দ্বীপে এটি প্রথম পরীক্ষা করা হয়৷ ২০১৪ সালে এটি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যুক্ত হয়। এটি ৫,৮০০ কিমি দূরের লক্ষেও আঘাত হানতে সক্ষম। এর পরিধির মধ্যে রয়েছে চিন, জাপান, সম্পূর্ণ রাশিয়া, পূর্ব আফ্রিকার দেশ সমূহ, ও পূর্ব ইউরোপ। এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সঙ্গে সঙ্গে ভারত ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টার মিশাইল দেশে পরিণত হয়।