নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে ফের ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে করোনা। যেভাবে প্রতিদিন দেশের করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তথা দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করোনার চতুর্থ ঢেউ অবশ্যম্ভাবী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। এদিকে দেশজুড়ে করোনার বিধি নিষেধ প্রায় নেই বললেই চলে। এমতাবস্তায় দেশের দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা যেভাবে ঘোড়ার লাফ দিচ্ছে তাতে রীতিমতো আতঙ্কিত চিকিৎসক মহল।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, গত একদিনে দেশে এক ধাক্কায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৯ হাজারের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশজুড়ে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৯৩০ জন। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে ফের প্রথম স্থানে উঠে এসেছে দক্ষিণের রাজ্য কেরল এবং তারপরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। এদিকে বাংলা, তামিলনাড়ুর মতো একাধিক রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০০০-এর এর গণ্ডি পার করেছে। একইভাবে লাফ দিয়ে বেড়েছে দৈনিক মৃতের সংখ্যাও। গত একদিনে দেশে নতুন করে করোনার বলি হয়েছেন আরও ৩৫ জন। মৃতের সংখ্যার নিরিখেও প্রথম স্থানে অবস্থান কেরলের। এই রাজ্যে একদিনে ১৯ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনার সংক্রমণ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এদিকে একদিনে মোট তিনজনের মৃত্যু হওয়ায় দৈনিক মৃতের সংখ্যার নিরিখে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে আমাদের রাজ্য বাংলা।
প্রসঙ্গত যত দিন যাচ্ছে ততই বাংলার করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যেই আমাদের রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০০০-এর গণ্ডি পার করেছে। দৈনিক আক্রান্তের পাশাপাশি বেড়েছে দৈনিক মৃতের সংখ্যাও। সব মিলিয়ে বাংলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন কেন্দ্র।
এর পাশাপাশি জানা যাচ্ছে গত একদিনে দেশের সুস্থতার হারও বেশ কিছুটা কমেছে। বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশজুড়ে মাত্র ১৪ হাজার ৬৫০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে করোনার সক্রিয় রোগী তথা অ্যাকটিভ কেস ফের এদিন ঘোড়ার লাফ দিয়েছে। জানা যাচ্ছে গত একদিনে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আরও ৪২৪৫ জন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দেশের মোট অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ২৪৫।