নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে একটানা ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমনের পর চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই দেশজুড়ে করোনা দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য পতন। সোমবারের পর মঙ্গলবারও বেশ কিছুটা কমল দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। মঙ্গল সকালে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের করোনা রিপোর্ট জানান দিচ্ছে দেশে এক দিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৩৩৮ জন। এক ধাক্কায় প্রায় পাঁচশো কমেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার যেখানে দেশের একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮০০-এর কাছাকাছি ছিল, মঙ্গলবার সেটাই কমে ২৩০০-এর গণ্ডিতে এসে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি দেশে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও মঙ্গলবার বেশ কিছুটা কম। সোমবার যেখানে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ২৭ ছিল মঙ্গলবার সেটাই কমে হয়েছে ১৯। মৃত এই ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জনই দক্ষিণের রাজ্য কেরলের বাসিন্দা। বাকি মৃত দুজনের মধ্যে একজন দিল্লি এবং অপরজন রাজস্থানের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে গত এক দিনে বেশ কিছুটা বেড়েছে সুস্থতার হার। কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে, সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দেশে করোনা মুক্ত হয় সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২১৩৪ জন। এই মুহূর্তে দেশে করোনার অ্যাক্টিভ দেশের সংখ্যা ১৭,৮৮৩। একদিনে যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮৩।
তবে দেশে করোনার পরিস্থিতি আগের থেকে অনেকটাই কম উদ্বেগজনক পর্যায়ে এসে দাঁড়ালেও নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস। জানা যাচ্ছে সম্প্রতি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেরলের এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণের এই রাজ্যের ত্রিশূর জেলায় হানা দিয়েছে মশাবাহিত এই রোগ। বেশ কয়েক দিন ধরে অসুস্থ থাকার পর রবিবার ৪৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। এরপরই কেরল তো বটেই দেশজুড়ে নতুন এই ভাইরাসকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশের অনুমান, সঠিক সময় যদি এই রোগের চিকিৎসা না হয় তাহলে করোনার মতোই মহামারীর আকার ধারণ করবে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস। ইতিমধ্যেই মশাবাহিত এই ভাইরাস দমনে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে কেরল প্রশাসন। আমেরিকার এই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হলেও তা কিভাবে আমাদের দেশে ছড়াচ্ছে সে নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।