নয়াদিল্লি: গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে কর্ণাটকের কলেজে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। এরপর কর্ণাটক হাইকোর্ট এই ইস্যুতে ঐতিহাসিক রায় দেয়, বলা হয় হিজাব বাধ্যতামূলক নয়। হিজাব সমর্থনকারী ছাত্রীরা এখন সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছেন। এই বিষয় নিয়ে বিতর্ক আপাতত বহাল থাকছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও ধাক্কা খেতে হচ্ছে হিজাব কাণ্ডের সেই প্রতিবাদী মুখ আলিয়াকে। কলেজ পাচ্ছেন না তিনি।
আরও পড়ুন- ইউক্রেনের গোটা এক শহর ধ্বংসস্তুপ, টেনে বের করা হচ্ছে লাশ
কর্নাটকের উদুপির সেই কলেজছাত্রী আলিয়া আসাদি হাইকোর্টের রায়ে অসন্তুষ্ট এবং হতাশও। উদুপিতে ওই প্রি-ইউনিভার্সিটিতে আলিয়া-সহ ছ’জন হিজাব পরিহিত ছাত্রীকে ক্লাসে বসতে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তারপর কর্ণাটক হাইকোর্ট যা রায় দেয় তাতে তিনি ক্ষুব্ধ। আলিয়া জানিয়েছেন, প্রথমে তারা কেউ হিজাব পরে কলেজে যেতে চাননি, হিজাব পরার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে অভিভাবকদের পাঠানো হয়েছিল কলেজে। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি। তাদের ‘মৌলবাদী’ও বলা হয়েছিল। আর এখন বিজেপি বিধায়ক পরিচালিত ওই কলেজে তিনি আর ক্লাস করতে চান না। সেই কারণেই তাঁর বাবা খুঁজছেন নতুন কলেজ, যেখানে হিজাব পরে হয়তো পড়তে যাওয়া যাবে।
কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উদুপি কলেজের মুসলিম পড়ুয়ারা। সুপ্রিম কোর্টে জরুরিভিত্তিক শুনানির আর্জি জানায় তারা। কিন্তু প্রাথমিকভাবে শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেয়েছে আবেদনকারীরা। জরুরিভিত্তিক শুনানির আর্জি সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। তবে আশা এখনও রয়েছে কারণ হোলির ছুটির পর এই মামলার শুনানি হতে পারে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। যদিও সেটাও এখনও চূড়ান্ত নয়।