Aajbikel

জোশীমঠে বিপদের সুযোগ বুঝে সীমান্তে চিনা সেনার জমায়েতের খবর! গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

 | 
জোশীমঠ

নিজস্ব প্রতিনিধি: লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ, সীমান্তে চিনা সেনার উস্কানি অব্যাহত। বহু বৈঠকের পরেও সীমান্ত সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি। আর উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠে বিপর্যয়ের আবহের মধ্যে সীমান্তে ফের উস্কানি দিতে শুরু করেছে লালফৌজ। বৃহস্পতিবার এমনটাই খবর পাওয়া গিয়েছে সেনা সূত্রে। জানা গিয়েছে পূর্ব সীমান্তে চিনা সেনার জমায়েত ধাপে ধাপে বাড়ছে। তবে বিষয়টির দিকে ভারতের কড়া  নজর রয়েছে ভারতীয় সেনার। অরুণাচল প্রদেশ থেকে লাদাখ সীমান্ত পর্যন্ত সীমান্তের কোন কোন রাজ্যের লাগোয়া এলাকায় চিনা সেনার জমায়েত বাড়ছে সেটা নিয়ে স্পষ্ট করে অবশ্য  কিছু জানা যায়নি। তবে পূর্ব এবং উত্তর সীমান্তে লালফৌজের তৎপরতা বেড়েছে বলেই খবর।

লাদাখের পাশাপাশি হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে চিন সীমান্ত রয়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডে জানিয়েছেন। তবে সেই সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন হঠাৎ করেই পরিস্থিতি বদল হতে পারে, যার আঁচ পাওয়া যায় না। তবে ভারত সব রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি বলে জানিয়েছেন তিনি।

আসলে ২০২০ সালের জুন মাসে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে হঠাৎই লালফৌজের আগ্রাসন দেখা যায়। সেদিন চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ভারতীয় সেনা। ঘটনায় শহিদ হন বহু ভারতীয় সেনা। তবে পাল্টা ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে চিনের বহু সেনারও মৃত্যু হয়েছিল।

জোশীমঠের একশো কিলোমিটার দূরেই চিন সীমান্ত রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে জোশীমঠে যে বিপর্যয় তৈরি হয়েছে, যেভাবে বাড়িতে বা রাস্তায় বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে, তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে সেখানকার প্রতিরক্ষা পরিকাঠামোয়। এই পরিস্থিতিতে চিনা সেনা এর সুযোগ নেবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে নয়াদিল্লি। কারণ জোশীমঠ থেকে ১০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে সীমান্তের ওপারে চিনের অধিকৃত তিব্বতে রয়েছে লাল ফৌজের 'ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড'-এর বিশাল ক্যাম্প।

এছাড়া জোশীমঠের ৫০ কিলোমিটার দূরে থাকা বারাহোতী অঞ্চলে অতীতে বহুবার চিনের সেনা অনুপ্রবেশ করেছে। যদিও গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রয়েছে ভারতীয় সেনার। জোশীমঠে ভারতের যে আইটিবিপি ঘাঁটি রয়েছে সেখানে বিপদের আশঙ্কা নেই বলেই সেনা আশ্বস্ত করেছে। কিন্তু রাস্তায় যেভাবে বড় বড় ফাটল ধরেছে তার জেরে ওই সেনা শিবিরের কিছু ঘরবাড়িতেও ফাটল ধরতে শুরু করেছে বলে খবর। গোটা বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে জরুরি বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে সীমান্তে ভারতীয় সেনা দ্রুত গতিতে যেতে পারবে কিনা রাস্তায় ধসের কারণে, এই বিষয়টি আলোচনায়  উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এই বৈঠকের পর বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি কেন্দ্রের তরফে। তাই জোশীমঠের বিপর্যয়ের ঘটনায় সেই সংলগ্ন অঞ্চলে ভারতীয় সেনার সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। কোনও ভাবে চিন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে তা বানচাল করার জন্য সদা জাগ্রত রয়েছে ভারতীয় সেনা।

Around The Web

Trending News

You May like