নয়াদিল্লি: বাদল অধিবেশন শুরুর আগে কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে সংসদ ভবন চত্বরে কোনও বিক্ষোভ হবে না। নির্দেশিকা জারি করে নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু সোমবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় বঙ্গ বিজেপি শিবির। কী ভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বিজেপি এইভাবে বিক্ষোভ দেখালো, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলার শাসক দল। মূলত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি এবং বাংলার বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত ইস্যু তুলে ধরেছে বিজেপি।
এদিন এই প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরী থেকে শুরু করে আরো অনেকে। তাদের একটাই বক্তব্য, যে দুর্নীতির প্রমাণ সামনে এসেছে তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। এর পেছনে আরো বড় বড় নাম জড়িয়ে আছে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। সেই প্রেক্ষিতে বাংলার শাসক দলের এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিক্ষোভ করে গেরুয়া শিবির। একাধিক প্লে কার্ড এবং ব্যানার দেখা যায় তাদের সঙ্গে। এমনকি এই প্রতিবাদ ক্ষেত্র থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। যদিও বিজেপির এই প্রতিবাদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির।
বাংলার শাসক দলের প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কিন্তু তারপরেও বিজেপি সংসদ ভবন চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এটা কেমন করে সম্ভব? কেন বিক্ষোভ দেখানো নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সেই প্রশ্ন তুলেছে তারা। সব মিলিয়ে সপ্তাহের প্রথম দিন রাজধানীর দিল্লি বেশ সরগরম ছিল এই ইস্যুতে।