মুম্বই: ফের বিতর্কে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স। বিশেষভাবে সক্ষম এক শিশুকে বিমানে উঠতে বাধা দিয়ে বিতর্কে জড়াল ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স। মদ্যপ ব্যক্তিদের সঙ্গে শিশুটির তুলনা করে বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দেন ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের এক কর্মী। বিমানের বাকি যাত্রীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ওই কর্মীকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরো ঘটনার ভিডিও করে এক ব্যক্তি প্রকাশ করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার হয়েছে ইন্ডিগো। বাধ্য হয়েই ক্ষমা চেয়েছে ইন্ডিগো।
কী হয়েছিল সেদিন? বিমানের এক সহযাত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে বিমানবন্দর আসার জার্নি, সিকিউরিটি চেকিংয়ের ঝামেলায় শিশুটি সম্ভবত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। শিশুটির মা তাকে জড়িয়ে ধরে শান্ত করার চেষ্টা করছিল। শিশুটিকে তার মা ওষুধও খাওয়ায়। তারপরেই শিশুটি খানিকটা শান্ত হয়ে যায়। কিন্তু তারপরেই শিশুটিকে মদ্যপের সঙ্গে তুলনা করে বিমানে উঠতে বাধা দেয় ইন্ডিগোর এক কর্মী। ওই কর্মী বলেন, এই ধরনের যাত্রী ও মদ্যপদের কোনওভাবেই বিমানে উঠতে দেওয়া যায় না। কারণ এনারা বাকি যাত্রীদের অসুবিধার সৃষ্টি করেন।
মনীষা গুপ্ত নামের এ যুবতী সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করে। জানা গিয়েছে, রাঁচী থেকে হায়দরাবাদগামী ইন্ডিগোর বিমানে এই ধরনের অমানবিক ব্যবহারের সাক্ষী থাকল বিশেষভাবে সক্ষম একটি শিশু। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় বয়ে যেতে থাকে। এরপরেই নড়েচড়ে বসে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের কর্তৃপক্ষ। এয়ার লাইন্সের সিইও রণজয় দত্ত ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। শিশুটিকে একটি ইলেকট্রনিক হুইল চেয়ার কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এয়ারলাইন্সের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে জানানো হয়েছে, অন্য যা্ত্রীদের সুরক্ষার স্বার্থে গত ৭ মে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুটিকে বিমানে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। শিশুটি সেই সময় কোনও কারণে ভয় পেয়ে গিয়েছিল। তার আচরণে বিমান কর্মীদের মনে হয়েছিল, অন্যান্য যাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।
অন্যদিকে, ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধ্রিয়া। তিনি বলেন, আর কখনও যাতে কাউকে এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে না হয়। এই বিষয়টি আমি নিজে দেখছি। বিমানকর্মীরা কেন শিশুটিকে উঠতে দিল না, তা খতিয়ে দেখা হবে। এই ধরনের ঘটনার বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। অন্যদিকে, দ্য ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশনের প্রধান অরুণ কুমার ইতিমধ্যে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের কাছে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন।