বারানসী: জ্ঞানবাপী মন্দিরে কোনও শিবলঙ্গ নয়, উদ্ধার করা হয়েছে একটা ফোয়ারা। এমনটাই দাবি করেছেন আসাউদ্দিন ওয়েইসি সহ মসজিদ কর্তৃপক্ষের তরফের আইনজীবী। অন্যদিকে, তিন দিনের সমীক্ষা শেষে বারাণসী আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে রিপোর্ট চাওয়ার জন্য দুই দিনের সময় চেয়েছেন কোর্ট কমিশন বলে জানা গিয়েছে।
মসজিদে শিবলিঙ্গ পাওয়ার খবরে উত্তেজিত হয়ে পড়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। AIMIM chief আসাউদ্দিন ওয়েইসি দাবি করেন, মসজিদ থেকে কোনও শিবলিঙ্গ পাওয়া যায়নি। বরং একটা ফাউন্টেইন পাওয়া গিয়েছে। সব মসজিদেই থাকে। তিনি বলেন, বাবরি মসজিদ হারানোর পর মুসলিমরা কোনও মসজিদ হারাতে চায় না। পাশাপাশি ওয়েইসি জানিয়েছেন, এলাকা সিল করে দেওয়া নির্দেশ ১৯৯১ সালের অ্যাক্টের পরিপন্থী। সেখানে বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের আগে বা পরে কোনও ধর্মীয় স্থানের চরিত্র বদল করা যাবে না।
উত্তরপ্রদেশের জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়। দিন কয়েক আগেই এই মসজিদ চত্বর প্রসঙ্গে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি সার্ভে করার নির্দেশ দেয় আদালত। সোমবার এক মামলাকারী দাবি করেন, মসজি চত্বরে একটি পুকুরের সমস্ত জল ছেঁচে ফেলে সমীক্ষা করা হয়। তখনই পুকুর থেকে এটি শিবলিঙ্গ পাওয়া যায় বলে এক মামলাকারী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন দাবি করেছেন বলে জানা গিয়েছে। অন্য এক আইনজীবী জানান, মসজিদের জল দিয়ে মুসলিমরা উজু আচার পালন করেন।
জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় যে সার্ভে চলছে সেই সার্ভে চলাকালীন পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশ মেনে গত কয়েকদিন ধরে মসজিদ চত্বরে যে সার্ভে চলছিল সোমবার তার তৃতীয় এবং শেষ দিন। এদিনই মামলার শুনানির সময়ে ওই আইনজীবী দাবি তোলেন যে মসজিদ চত্বরে সংশ্লিষ্ট একটি স্থানে শিবলিঙ্গের অবস্থান রয়েছে। আর তাতেই নড়েচড়ে বসে আদালত। তৎক্ষণাৎ মসজিদ চত্বরটি সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।