বিশাখাপত্তনম: আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসকেই সঠিক প্রমাণিত করে বুধবার গতিপথ বদল করল ঘূর্ণিঝড় আসানি। মঙ্গলবারই আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় হিসাবেই অবস্থান করবে আসানি। এই ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভাগে প্রবেশের সম্ভাবনা নেই। কিন্তু মঙ্গলবার রাতেই পূর্বাভাস বদল করে জানানো হয়, কিছুক্ষণের জন্য হলেও অন্ধ উপকূলের কাঁকিনাড়ার কাছে স্থলে প্রবেশ করবে এই ঘূর্ণিঝড়। কিছুক্ষণ পর সেটা আবার ফিরে যাবে সমুদ্রে। এরপরেই বুধবার সকাল থেকে অন্ধপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে। আপাতত অন্ধপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম এবং তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের সমস্ত বিমান বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হয়েছে প্রায় চল্লিশটি ট্রেন। এছাড়াও পূর্বনির্ধারিত বোর্ডের পরীক্ষাও এই ঝড়ের কারণে পিছিয়ে দিয়েছে অন্ধ্র সরকার। যদিও হাওয়া অফিসের খবর এই ঝড়ের তীব্রতা আগের থেকে অনেকটাই কম ফলে, সেই ভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনও আশঙ্কা নেই। কিন্তু তারপরেও কোথাও কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না রাজ্য সরকার।
বুধবার সকালে আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উপকূলের দিকে আপাতত ১২ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় এগোচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়। আগের থেকে শক্তি অনেকটা কমে গেলেও যতটা আশা করা হয়েছিল ততটা শক্তিক্ষয় হয়নি। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে গত কয়েক ঘণ্টায় এই ঝড়ের আকৃতি ছোট হলেও তার মধ্যেই কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করেছে আসানি। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে বুধবার সকালের মধ্যে অন্ধ্র উপকূলে ঢুকে এই ঘূর্ণিঝড় ধীরে ধীরে মছলিপুরম, নড়সাপুর, ইয়ামন, কাঁকিনাড়া, টুনি হয়ে ফের সমুদ্রে ফিরবে। এই ঘূর্ণিঝড় যতটা রুদ্ররূপ দেখাবে বলে মনে করা হয়েছিল ততটা আর তার ক্ষমতা নেই। তবে এই তার কেন্দ্রস্থলে হাওয়ার গতিপথ ৮৫ থেকে ৯৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত থাকার কথা।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকেই অন্ধপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এর সঙ্গেই বুধবার সকাল থেকে উপকূলবর্তী এলাকায় ঝোড়ো হওয়া শুরু হয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর। তবে এখনও স্থলভাগ থেকে বেশ কিছুটা দূরে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়।