তাওয়াং: গত ৯ ডিসেম্বর, শুক্রবার অরুণাচলপ্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে আবার একবার সংঘাতে জড়ায় ভারতীয় ও চিনা সেনা। এই সংঘাতে দুই পক্ষের সেনাই আহত হন। ২০২০ সালের গালওয়ান সীমান্তের কথা মনে করিয়ে দেয় এই ঘটনা তাই দেশবাসীর মধ্যে উদ্বেগ এবং আতঙ্ক দুইই বেড়েছে। ফের সেই আগের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে নাতো? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কিন্তু ভারতীয় সেনা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছে। তাঁদের তরফ থেকে জানান হয়েছে, অরুণাচল সুরক্ষিত, দেশও। কোনও চিন্তা করার কোনও কারণ নেই।
আরও পড়ুন- নয়াদিল্লি অগ্নি-পরীক্ষার চিন্তা ভাবনা শুরু করতেই ভারত মহাসাগরে শুরু চিনা গুপ্তচর জাহাজ!
বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে অভয় দিয়ে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি-ইন-সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল জানিয়েছেন, পিপলস লিবারেশন আর্মির ষড়যন্ত্র গোড়াতেই ভেস্তে দেওয়া গিয়েছে। অরুণাচল কেন, গোটা দেশ সুরক্ষিত। ভয়ের কোনও কারণ নেই। এই ঘটনায় মুখ খুলে আগেই চিনকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন দেশের প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে৷ হুশিয়ারির সুরে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘লাঠি দিয়ে হামলা হলে আমরাও গুলি চালাতে পারি।’ একই সঙ্গে চিনকে একহাত নিয়ে তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘আমরা একুশ শতকের সেনাবাহিনী। ক্লাব এবং কাঁটাতারে ফিরে যাওয়ার মানে প্রাগৈতিহাসিক সময়ে ফিরে যাওয়া। যুদ্ধ ক্ষেত্রের কিছু নিয়ম আছে। এখানে ইচ্ছামতো কিছু করা যায় না৷ আমরা নিজেদের পেশাদার অবস্থান বজায় রেখে চলতে চাই।”
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৯ তারিখ প্রায় ৩০০ সেনা নিয়ে তাওয়াং-এর কাথে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় হানা দেয় লাল ফৌজ। তাওয়াং সেক্টরে সংঘাতে জড়ায় ভারত এবং চিন বাহিনী। তবে চিনা বাহিনীতে আহতের সংখ্যা অনেক বেশি বলেই সূত্রের খবর৷ সীমান্তে ভারতের প্রস্তুতি দেখে চমকে গিয়েছিল চিন। প্রস্তুত থাকায় সে ভাবে আঘাত হানতে পারেনি চিনা ফৌজ৷