কংগ্রেস সভানেত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, দায়ের মামলা

কংগ্রেস সভানেত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, দায়ের মামলা

নয়াদিল্লি: কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিব মাধবনের বিরুদ্ধে উঠল ধর্ষণের অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, সোনিয়া গান্ধীর এই আত্মসহায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন ২৬ বছর বয়সী এক তরুণী। তাঁর অভিযোগের উপর ভিত্তি করে পুলিশ গত ২৫ শে জুন পিপি মাধবনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন বলে খবর। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দিল্লির উত্তমনগর থানার বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সী মহিলা জানিয়েছেন মাধুবান প্রথমে তাঁকে চাকরি এবং পরে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন। সম্প্রতি মাধবনের বিরুদ্ধে এই খবর প্রকাশে আসতেই ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। তবে মহিলার কথা আদৌ সত্যি কিনা তা এখনো প্রমাণিত নয়।

অভিযোগকারীর কথা অনুযায়ী, ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিব মাধবন সুন্দরনগরের  একটি বাড়িতে ২৬ বছরের ওই তরুণীকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডেকেছিল। এরপর ওই বাড়িতেই মাধবন তাঁকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। অভিযোগকারী এও জানিয়েছেন যে, মাধবন যে বিবাহিত সেই সত্যও তিনি গোপন করেছেন। পরে মাধবনের একটি ফোনের মাধ্যমে নির্যাতিত জানতে পারেন যে মাধবন বিবাহিত। ওই তরুণীর আরো দাবি, মাধবন নিজেকে প্রথম থেকেই ডিভোর্সি বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। 

পুলিশ সূত্রে খবর নির্যাতিতার জবানবন্দি অনুযায়ী জানা যাচ্ছে পিপি মাধবন হঠাৎই একদিন নির্যাতিতাকে ফোনে জানান যে তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে মাধবনের স্ত্রী সম্প্রতি সমস্ত কিছু জানতে পেরেছেন। স্ত্রীর কাছ থেকে বিষয়টি আড়াল করতে তিনি এখন ফোনে নির্যাতিতার নাম পরিবর্তন করে সেভ করবেন। বিষয়টি স্ত্রীর সামনে যাতে কোনোভাবেই প্রকাশ না হয় তার জন্যও ক্রমাগত নির্যাতিতাকে চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে মাধবনের এই কথার প্রথম থেকেই বিরোধিতা করেছিলেন নির্যাতিতা।

 এর সঙ্গেই জানা যাচ্ছে ওই তরুণী জানতে পারেন মাধবন বিবাহিত তখন তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে মাধবনকে বিয়ের জন্য চাপ দেবেন। কিন্তু এর ফল হয় উল্টো। মাধবনের ফোন এবং মেসেজের উত্তর না দেওয়ায় একাধিকবার মাধোবন ওই তরুণীকে ‘চরম পরিণতির’ হুমকি দেন বলে খবর।

তবে ওই তরুণীর সমস্ত অভিযোগকেই কংগ্রেস সভানেন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব পিপি মাধবন ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই তাঁর ভাবমূর্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি মাধবন এটাও জানিয়েছেন যে সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে তিনি প্রথমে জানতে পেরেছেন যে উত্তম নগর থানায় তার বিরুদ্ধে কোন মহিলা যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন। ইতিমধ্যেই তিনি থানায় হাজির হয়েছেন এবং পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন। ঘটনাটিকে বদনাম করার ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন সোনিয়া গান্ধীর এই ব্যক্তিগত সচিব।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *