নয়াদিল্লি: প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর লাঞ্চ ব্রেক। আর সেই বিরতির সময়েই বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সঙ্গে নিয়ে মা সোনিয়া গান্ধীর কাছে গেলেন কংগ্রেসের যুবরাজ তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। উল্লেখ্য, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সোমবার সকালেই নির্ধারিত সময়ে ইডি দপ্তরের এসে হাজিরা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। সঙ্গে ছিলেন বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধীকে দু’দফায় জেরা করেছেন ইডি আধিকারিকরা। তৃতীয় দফার জেরার জন্য সোমবারই ফের রাহুল গান্ধীকে ইডি দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে। মাঝে কিছু সময়ের জন্য দেওয়া হয়েছে লাঞ্চ ব্রেক। আর সেই লাঞ্চ ব্রেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা।
উল্লেখ্য ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোমবার কিছুটা অন্যরকমভাবেই ইডি দপ্তরে হাজিরা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এদিন সকালে তিনি পায়ে হেঁটে, কার্যত মিছিল করেই দিল্লি কংগ্রেসের সদর দপ্তর থেকে সোজা ইডি দপ্তরে যান। তাঁর সঙ্গেই এগোতে থাকেন তাঁর দলের একাধিক দলীয় কর্মী এবং নেতারা। তাঁদের মুখে আবার শোনা যায় ‘রাহুল গান্ধী জিন্দাবাদ’ স্লোগান। এই সবের মধ্যেই নির্ধারিত সময়ে ইডি দপ্তরে হাজিরা দেন রাহুল। জানা যাচ্ছে এদিনের জিজ্ঞাসাবাদে প্রথম দুই দফায় রাহুল গান্ধীকে মোট ৫৫টি প্রশ্ন করা হয়েছে। তার দেশ এবং বিদেশ মিলিয়ে সমস্ত ব্যাংক একাউন্ট ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও জানতে চাওয়া হয়েছে। দুই দফার পর এখনো একদফা জেরা বাকি। আর তাই কিছুক্ষণের মধ্যেই রাহুল গান্ধীকে ফের ইডি দপ্তরে এসে হাজিরা দিতে হবে। এর মাঝে সামান্য বিরতির কিছুটা সময় পেয়েই মা সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন রাহুল।
উল্লেখ্য, গত ২ জুন জানা যায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর মধ্যে করোনার সমস্ত উপসর্গই বিদ্যমান। কিন্তু শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকার কারণে প্রথমে তিনি বাড়িতেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে হঠাৎই গতকাল অর্থাৎ রবিবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয এবং রবিবার সকালেই তাঁকে দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন সোনিয়া।