নয়াদিল্লি: আনিস খান হত্যাকাণ্ড, তারপর পরপর দুই কাউন্সিলরের হত্যা, তাও আবার একইদিনে। এই তিন ঘটনা নিয়ে লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কার্যত ঝড় তুললেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এদিন এই ইস্যুতে বক্তব্য রাখতে উঠে তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বললেন, বাংলায় ভোটের আগে এবং পরে সন্ত্রাস, হিংসা, খুন, দাঙ্গা, রাহাজানি, সব কিছু হচ্ছে। তিনি আরও দাবি করেন যে, আজকের বাংলায় রাজনীতি করার কোনও বাতাবরণ নেই।
আরও পড়ুন- বাংলা নামে লন্ডনের স্টেশন! গর্ব অনুভব করছেন মমতা
অধীর এদিন আরও বলেন, কিছুদিন আগে আনিস খান নামের এক যুবককে পুলিশ সরাসরি খুন করল। এদিকে পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হল শুধু ওই পুরসভার দখল নেওয়া হবে বলে। বাংলার সরকার, শাসক দল লাগামহীন সন্ত্রাস চালাচ্ছে বাংলাতে। ভোটের সময় তো হিংসা হচ্ছেই, ভোটের পরেও সন্ত্রাস করছে তারা। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, বাংলায় আজ গণতন্ত্র ধর্ষিত, গণতন্ত্রকে লুঠ করা হচ্ছে। বাংলায় আজ স্বাধীনভাবে নির্বাচন করার কোনও জায়গাই নেই। খুন, দাঙ্গা প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে গিয়েছে বাংলাতে এবং পুলিশ এবং শাসক দল মিলিতভাবে এই সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এমনই দাবি করেন কংগ্রেস সাংসদ। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, আনিস খান এবং তপন কান্দু খুনে যেন আদালতের নেতৃত্বাধীন সিবিআই তদন্ত হয়।
আসলে গত পরশু পানিহাটিতে তৃণমূল কাউন্সিলর অনুুপম দত্তকে এবং ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে গুলি করে খুন করা হয়। বাইকের পিছনে বসে ছিলেন অনুপম। সে সময় আততায়ীরা তাঁর মাথায় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তৃণমূল কাউন্সিলরের। অন্যদিকে, ঝালদায় গুলিতেই নিহত হয়েছেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। তাঁকেও খুব কাছ থেকেই গুলি করা হয়েছে। ওদিকে, ছাত্র নেতা আনিস খানের খুনের ঘটনায় কাঠগড়ায় খোদ পুলিশই।