দেশের ১৯ শতাংশ মানুষের আয় পাঁচ হাজারের নীচে, নয়া রিপোর্টে বাড়ছে চিন্তার পারদ

দেশের ১৯ শতাংশ মানুষের আয় পাঁচ হাজারের নীচে, নয়া রিপোর্টে বাড়ছে চিন্তার পারদ

নয়াদিল্লি:  দেশের আর্থিক অবস্থা মোটেই ভালো নয়। বার বার বিরোধীরা অভিযোগ করছেন, দেশে উত্তোরত্তর বেড়ে চলেছে বেকারত্ব। কার্যত সেই অভিযোগকে সিলমোহর দিল সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট কার্যত শিউরে ওঠার মতো। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দেশের ১৫ শতাংশ নাগরিকের রোজগার পাঁচ হাজারের টাকার এর কম। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, দেশের মোট আয়ের ২২ শতাংশ রয়েছে দেশের এক শতাংশ লোকের হাতে। এই রিপোর্ট নতুন করে আতঙ্কের পারদ বাড়াতে শুরু করেছে। তবে কি ভারত আর্থিক মন্দার দিকে হাঁটতে শুরু করেছে। 

বিশ্ব বৈষম্য রিপোর্ট ২০২২ অনুযায়ী, আর্থিক দিক থেকে ভারতের অবস্থা বেশ খারাপ। প্রবল বৈষম্যমূলক বলেও রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দেশের ১০ শতাংশ নাগরিকের হাতে রয়েছে ৫৭ শতাংশ সম্পদ। তলানিতে দেশের ৫০ শতাংশ নাগরিক। দেশের অর্ধেক নাগরিকের হাতে জাতীয় আয়ের ২৩ শতাংশ। ১৫ শতাংশ নাগরিকের আয় ৫০০০ টাকার কম বলেও দাবি করা হয়। 

রিপোর্টে জানানো হয়েছে, দেশের যে সমস্ত নাগরিকের মাসিক আয় ২৫ হাজার বা তার ওপরে। তাঁরা দেশের মাত্র ১০ শতাংশ নাগরিক। আর্থিক বিশেষজ্ঞ কৌশিক বসু জানান, বিশ্বব্যাঙ্কের তালিকা অনুযায়ী বেকারত্বের দিক থেকে প্রথম পাঁচে রয়েছে ভারতের অবস্থান। পাশাপাশি রিপোর্টে নয়া সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে কাজ থাকলেও হাতে টাকা নেই। দেশের ১৯ শতাংশ মানুষের মাসিক আয় পাঁচ হাজারের নীচে। অর্থাৎ বেকারের তালিকায় তাঁরা না থাকলে দৈন অবস্থা তাঁদের কোনও বেকারের থেকে কোনও অংশে কম নয়। 

২০১৯-২০ সালে দেশের ৪৭.৭৮ শতাংশ মানুষ স্বনির্ভর ছিলেন। অর্থাৎ তাঁরা কোনও সংস্থার অধীনে কাজ করতেন না। নিজের ব্যবসা বা ওই জাতীয় কোনও কাজ ছিল। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, আয়ের দিক থেকেই তাঁরা সব থেকে পিছিয়ে পড়ছেন। এই অংশটির ১০ ভাগের এক ভাগ বর্তমানে বেকারত্বের তালিকায় চলে গিয়েছেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine + 2 =