গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে জঙ্গিরা, বাবাকে বাঁচাতে জড়িয়ে ধরল শিশু কন্যা

গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে জঙ্গিরা, বাবাকে বাঁচাতে জড়িয়ে ধরল শিশু কন্যা

শ্রীনগর: বাড়িতে ঢুকেই কাশ্মীর পুলিশের এক কনস্টেবলকে গুলিতে ঝাঁঝরা করতে দিতে থাকে জঙ্গিরা। পাশেই ছিল সাত বছরের মেয়ে। বাবাকে বাঁচাতে ওই টুকু মেয়ে জড়িয়ে ধরে। মন গলেনি জঙ্গিদের। তারপরেও চলে গুলির বন্যা। গুরুতর আহত আবস্থায় কাশ্মীর পুলিশের ওই কনস্টেবল ও শিশুকন্যাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন ওই পুলিশ কনস্টেবলের মৃ্ত্যু হয়েছে। শিশুটির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে নিহত পুলিশ কর্মীর নাম সইফুল্লা কাদরির। তিনি অঞ্চরের সৌরা এলাকার বাসিন্দা। কাদরির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কাশ্মীর রেঞ্জের পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার। জানা গিয়েছে, হামলার পর জঙ্গিরা পালিয়ে যায়। তবে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তা বাহিনী। জঙ্গিদের সন্ধানে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি এলাকাতে নাকা সতর্কতাও জারি করা হয়েছিল।

এই হামলার দায় স্বীকার করেছে টিআরএফ বা দ্য রেসিসট্যান্স ফ্রন্ট। সোমবারই শ্রীনগরের বিভিন্ন এলাকা তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা টিআরএফের দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদের হাইব্রিট জঙ্গি বলে উল্লেখ করেছেন। এই ধরনের জঙ্গিদের বড় ধরনের কোনও নাশকতা করার ক্ষমতা নেই। মাঝারি মাপের নাশকতা করতে সক্ষম। তাই এদের হাইব্রিট জঙ্গি বলা হয়েছে। তারই প্রতিশোধ নিতে কাশ্মীর পুলিশের ওই কনস্টেবলকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।

সোমবার নিরাপত্তারক্ষীরা তল্লাশি অভিযান চালিয়ে জানতে পেরেছে, লস্কর জঙ্গিদের গভীর ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করছে। অভিযানে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র। এই অস্ত্র ব্যবহার করে পণ্ডিতদের হত্যা করে ভয়ের পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চাইছে। আগে অমরনাথ যাত্রীদের ওপর হামলার হুমকি দিয়েছিল জঙ্গিসংগঠনটি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *