কেদার-বদ্রীর পথেই মৃত্যু ৯৯ জন পূণ্যার্থীর, উত্তরাখণ্ড সরকারের দিকে উঠছে প্রশ্ন

কেদার-বদ্রীর পথেই মৃত্যু ৯৯ জন পূণ্যার্থীর, উত্তরাখণ্ড সরকারের দিকে উঠছে প্রশ্ন

চারধাম যাত্রীকালীন ক্রমেই পূণ্যার্থীদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। শনিবারই উত্তরাখণ্ডে আটজন পূণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সরকারি হিসেব বলছে, গত ২৫ দিনে ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তরাখণ্ডে। ঘটনার জেরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও উত্তরাখণ্ড প্রশাসন জানিয়েছে, মৃত্যু এড়াতে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। একাধিক রাস্তায় একাধিক জায়গায় প্যারা মেডিক্যাল সেন্টার করা হয়েছে। সেখানে কর্মী রাখা হয়েছে। 

উত্তরাখণ্ডে স্বাস্থ্য বিভাগের ডিজি শৈলজা ভাট জানানো হয়েছে, বয়স্কদের স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। যাতে তাঁদের কোনও ধরনের অসুবিধা না হয়, তার  ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি অসুস্থদের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। অনেকেরই উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগের সমস্যা বাড়ে। ৩ মে থেকে এই যাত্রা শুরু হয়েছে। তারপর থেকেই একের পর এক মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করেছে। প্রতিবছরই চারধাম যাত্রায় প্রচুর পূণ্যার্থীর মৃত্যু হয়। ২০১৯ সালে চারধাম যাত্রায় ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৮ সালে ১০২ জন ও ২০১৭ সালে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। প্রতি বছরে ছয় মাসের জন্য চারধামের যাত্রা খুলে দেওয়া হয়। 

অন্যদিকে, শুধু উচ্চতা নয়, আবহাওয়া হৃদরোগের জন্য অনেকটা দায়ী বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানিয়েছেনস ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় মন্দিরগুলো রয়েছে। সমতলের সঙ্গে ওই এলাকায় আবহাওয়া আকাশ-পাতাল পার্থক্য। সেই আবহাওয়ার তারতম্য অনেকেই মনে নিতে পারছেন না, সেই কারণে অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। অনেকে আবার ঠান্ডার উপযুক্ত পোশাক আনছেন না। যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। 

এই পরিস্থিতির মধ্যে রুদ্রপ্রয়াগে ট্রেকিং করতে গিয়ে সাতজন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। উত্তরাখণ্ড প্রশাসন উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। শনিবার হেলিকপ্টার নিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডে একটি দুর্ঘটনায় পাঁচ জন বাঙালি পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *