করোনা মোকাবিলায় মোদির উপর আস্থা ৯৩.৫% মানুষের, বলছে সমীক্ষা

করোনা মোকাবিলায় মোদির উপর আস্থা ৯৩.৫% মানুষের, বলছে সমীক্ষা

নয়াদিল্লি: করোনায় নাস্তানাবুদ গোটা দুনিয়া৷ বিপর্যস্ত আমেরিকা, ফ্রান্স, ইতালির মতো দেশ৷ সেই নিরিখে ভারতের পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো৷ দেশের ৯৩.৫ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন, করোনা মোকাবিলায় অত্যন্ত সফল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার৷ সঠিকভাবেই পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন তিনি৷ তাঁর নেতৃত্বে কোভিড-১৯ পেন্ডামিকে সঠিক পথেই এগোচ্ছে দেশ৷

করোনা পরিস্থিতিতে গত ২৫ মার্চ সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ কিন্তু দেশে ক্রমাগত আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে লকডাউন আরও দীর্ঘায়িত করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র৷ লকডাউনের মেয়াদ  বাড়িয়ে ৩ মে পর্যন্ত করা হয়৷ আইএএনএস-সি-ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, লকডাউনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর লকডাউনে সিদ্ধান্তের উপর আস্থা রেখেছিলেন দেশের ৭৬.৮ শতাংশ মানুষ৷ কিন্তু ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চিত্রটা অনেকটাই বদলে গিয়েছে৷ এখন দেশের ৯৩.৫ শতাংশ লোকই আস্থা রাখছেন নমোর সিদ্ধান্তের উপর৷

এই বিষয়ে একটি ট্যুইট করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদি যে ভাবে কোভিড-১৯ পেন্ডামিকের মোকাবিলা করছেন, তাতে তিনি সারা বিশ্বে প্রশংসিত৷ এমন এক চ্যালেঞ্জিং সময়ে দেশবাসীকে রক্ষা করার পাশাপাশি বিশ্বের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ তাঁর ছত্রছায়ার প্রত্যেক ভারতীয় নিজেদের সুরক্ষিত মনে করছেন এবং আস্থা রাখছেন তাঁর নেতৃত্বে৷’’ অমিত শাহর এই ট্যুইটের পর কমেন্ট জানাতে শুরু করে মানুষ৷ শাহর সঙ্গে সুর মিলেয়েই একজন ইউজার বলেন, ‘‘আমি মনে করি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সঠিক পথেই এগোচ্ছে ভারত সরকার৷ নরেন্দ্র মোদির উপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে৷ শুধু করোনা সংক্রান্ত বিষয়েই নয়, সমস্ত সমস্যা সফলতার সঙ্গে সমাধান করার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর৷’’

১৬ এপ্রিলের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল ৭৫.৮ শতাংশ লোক সরকারের উপর ভরসা রাখছেন৷ এর পর করোনা মোকাবিলায় সরকারের একাধিক পদক্ষেপে বদলাতে শুরু করে পরিসংখ্যান৷ আশ্চর্যজনকভাবেই পয়লা এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর আস্থার গ্রাফ চড়তে শুরু করে৷ ৩১ মার্চ ৭৯.৪ শতাংশ মানুষ মনে করত সরকার করোনা মোকাবিলায় ভালো কাজ করছে৷ কিন্তু পয়লা এপ্রিল ৮৯.৯ শতাংশ মানুষই বিশ্বাস করতে শুরু করেন নরেন্দ্র মোদির সিদ্ধান্তের উপর৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − eight =