নয়াদিল্লি: ফের দূষণের বিষে ঢেকে গিয়েছে রাজধানী৷ বায়ুদূষণের চাদরে ঢাকা পড়ে আবারও একবার জেরবার দিল্লি৷ পরিবেশকে বাঁচাতে হবে, দূষণ কমাতে হবে, এই দাবি নিয়ে মাঝরাতে সংসদের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদে নামল বছর ৯-এর এক বালিকা৷ তার দাবি দিল্লিকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে দ্রুত কোনও সিদ্ধান্ত নিক সরকার৷ নয় বছরের ওই বালিকার নাম লিকপ্রিয়া কানগুজাম৷ এ যেন জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গের প্রতিচ্ছবি৷ শনিবার মাঝরাতে নিজের মা ও ছোট্ট বোনের সঙ্গে সংসদভবনের সামনে পৌঁছায় লিকপ্রিয়া৷ হাতে তার একটি প্ল্যাকার্ড৷ যেখানে রয়েছে দিল্লিকে বাঁচানোর আর্জি৷ কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের কাছে ছোট্ট এই শিশুর একটাই আবেদন প্রকৃতি মাতাকে বাঁচানোর জন্য কোনও বড়সড় পদক্ষেপ নিক তারা৷
এভাবেই কিছু বছর আগে এভাবেই বিদেশে সংসদভবনের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছিল জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে৷ এ যেন তারই প্রতিচ্ছবি৷ লিকপ্রিয়া এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন যে, দিল্লিতে যেভাবে দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে তাতে তার একটাই আর্জি রাজনৈতিক নেতারা যাতে এটি রুখতে কোনও বড়সড় পদক্ষেপ শীঘ্রই গ্রহণ করে৷ তার নিজের হাতে লেখা প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে, ‘দিল্লির শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, মানুষেরা এই নিয়ে কথা বলছে, রাজনৈতিক নেতারা একে অপরকে দোষারোপ করছে৷ কিন্তু কেউই এর সমাধানের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে না৷ প্রতিবছর বায়ুদূষণের কারণে ৬০ লক্ষ শিশুর মৃত্যু হয়৷ আমাদের এক নিশ্চিত সমাধানের খুবই প্রয়োজন৷ দিল্লির বায়ুদূষণ থেকে আমাদের জীবন বাঁচান৷ শীঘ্রই কোন পদক্ষেপ নিন আপনারা৷’
প্রসঙ্গত, অক্টোবরের এই মাঝামাঝি সময় থেকেই বাড়তে থাকে দূষণের পরিমাণ৷ তবে এর ফলে দিল্লিতে কোভিড পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হবে বলে দাবি করেছিলেন চিকিত্সকেরা৷ মারণ করোনা ভাইরাসের অন্যতম সাধারণ লক্ষণ হ’ল শ্বাসকষ্ট৷ চিকিত্সকদের মতে উত্তর ভারতে প্রতিবছরের মতো এবার যদি বাতাস হঠাৎ করে আরও বেশি বিষাক্ত হয়ে ওঠে, তবে ভাইরাসে সংক্রামিত আরও বেশি লোক হাসপাতালে এসে মারা যেতে পারে৷ তাদের বাঁচানো কোনওভাবেই সম্ভব নয়৷ দিল্লির লাঙ কেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেস্ট সার্জেন্ট অরবিন্দ কুমার বলেন, যদি দুটি লোক ফুসফুসে একসঙ্গে গুলি চালায় তাহলে বেশি সমস্যা তো হবেই৷ যার মানে একদিকে কোভিডের সংক্রমণ অন্যদিকে দূষিত বায়ু ফুসফুসে গেলে তার ক্ষতি তো অবসম্ভাবী৷