বেঙ্গালুরু: কোভিড-১৯ প্যানডেমিক রুখতে আন্তর্জাতিক উড়ানের পাশাপাশি দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবাও৷ অবশেষে লকডাউনের মধ্যেই দেশের অভ্যন্তরে ফের পাখা মেলতে চলেছে বিমান৷ আগামী সোমবার থেকে চালু হবে বিমান পরিষেবা৷ তবে এক্ষেত্রেও থাকছে নিয়মের কড়াকড়ি৷ কর্ণাটকে পা রাখা যাত্রীদের জন্য থাকছে একগুচ্ছ নিয়ম৷ সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত ছয় রাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ভাবে সাত দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশিকা জারি করল কর্ণাটক সরকার৷
জানানো হয়েছে, করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, দিল্লি, গুজরাত, তামিলনাড়ু এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে আসা প্রতিটি বিমান যাত্রীর কোভিড-১৯ পুল টেস্টিং করা হবে৷ রেজাল্ট নেগেটিভ এলে তাঁদের পাঠানো হবে হোম কোয়ারেন্টিনে৷ তবে এই ছয় রাজ্য ছাড়া অন্য রাজ্যগুলি থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) অনুসারে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক বলে শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে৷
এসওপি অনুযায়ী, টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এলে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার অনুমতি পাবেন গর্ভবতী মহিলা, ১০ বছরের নীচের শিশু, ৮০ ঊর্দ্ধ ব্যক্তি এবং অসুস্থ ব্যক্তি ও তাঁর একজন পরিচারক৷
বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবসার কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজে রাজ্যে আসা ব্যক্তিদের ছাড় দেওয়া হবে৷ তবে সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের অনুমোদনপ্রাপ্ত ল্যাবরেটরি থেকে কোভিড-১৯ টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে৷ ওই রিপোর্ট ২ দিনের বেশি পুরনো হলে, তা গ্রাহ্য হবে না৷
লকডাউনের মধ্যেই আগামী ২৫ মে থেকে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা চালু করা হবে বলে বুধবার ঘোষণা করেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদ্বীপ সিং পুরি৷ এই বিষয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে৷ সামাজিক দূরত্ব এবং থামার্ল স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ এছাড়াও আরোগ্য সেতু অ্যাপে ‘সবুজ সংকেত’ না থাকলে বিমান সফরের অনুমতি দেওয়া হবে না সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে৷