এটা কোন বিজ্ঞান? ‘গোবরের চিপ’ নিয়ে প্রশ্ন ৬০০ বিজ্ঞানীর, কড়া ভাষায় কেন্দ্রকে চিঠি

এটা কোন বিজ্ঞান? ‘গোবরের চিপ’ নিয়ে প্রশ্ন ৬০০ বিজ্ঞানীর, কড়া ভাষায় কেন্দ্রকে চিঠি

6e9b6b4e0e57d68917fec2c49d6501e9

নয়াদিল্লি: গোবর থেকে তৈরি চিপ মোবাইলের বিকিরণ আটকাবে, সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছিলেন মোদী সরকারের রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান বল্লভভাই কাথিরিয়া। দেশের প্রায় ৬০০ জন বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষক এবং অধ্যাপক সেই বল্লভ কাথিরিয়াকে চিঠি লিখে প্রশ্ন করলেন ঠিক কীসের ভিত্তিতে কাথিরিয়ার এমন দাবি? তারা চিঠিতে প্রশ্ন করেন, এর পিছনে কি কোনও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা রয়েছে?

একইসঙ্গে বিজ্ঞানীদের দাবি কাথারিয়া কুসংস্কার ছড়াচ্ছেন এবং সংবিধানের অপমান করছেন৷ সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠক করে রীতিমত ঢাকঢোল পিটিয়ে বল্লভভাই কাথারিয়া দাবি করেছিলেন, তেজস্ক্রিয়তা সংক্রান্ত অসুখ থেকে বাঁচতে চাইলে গোবরে প্রস্তুত এই চিপ ফোনে ব্যবহার করা উচিত৷ গোবর থেকে তৈরি ওই বিশেষ চিপটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘গৌসত্ত্ব কবচ’।

রাজকোটের শ্রীজি গোশালায় তৈরি হয়েছে চিপটি। গোবরের তৈরি গণেশ, লক্ষ্মীর মূর্তি, প্রদীপও দীপাবলিতে ব্যবহারের জন্য তুলে ধরেন তিনি। বিজ্ঞানীদের মতে, কাথারিয়া যে দাবি করেছেন তার তথ্য দিতে না পারলে কাথিরিয়ার দাবি কুসংস্কার ছড়ানোর শামিল। ভারতীয় সংবিধানের ৫১এ(এইচ) অনুচ্ছেদের বিরোধী। কারণ সংবিধান অনুযায়ী বিজ্ঞানমনস্কতা তৈরি করা প্রত্যেকের দায়িত্ব। কাথারিয়ার দাবি ছিল, মোবাইল ফোনের তেজস্ক্রিয়তার হাত থেকে সুরক্ষা দিতে পারে এই চিপ। ফোনে কথা বলার সময় শরীরে তেজস্ক্রিয়তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। কিন্তু গোবর নির্মিত চিপটি ফোনে ব্যবহার করলে সেই তেজস্ক্রিয়তা শরীরের খুব একটা ক্ষতি করতে পারবে না।

তিনি আরও বলেছিলেন, গোবরে তৈরি পণ্য বাড়িতে লাগলে, তা তেজস্ক্রিয়তার হাত থেকে গোটা বাড়িকে সুরক্ষা দেবে। কাথারিয়াকে লেখা চিঠিতে বিজ্ঞানীরা জানতে চেয়েছেন, কোথায়, কবে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা হয়েছে? তা কোন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে? সেই গবেষণার তথ্য কোথায়? কী রকম বিকিরণ মাপা হয়েছে? এবং কোন কোন মোবাইলে এই চিপ ব্যবহার করা হয়েছে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *