দড়ির মই দিয়ে উদ্ধার ৫০ ডুবন্ত বানর, প্রশংসিত কর্নাটকের বনদপ্তর

বেঙ্গালুরু: বর্ষা যেন রাশ টানছেই না লাগামে। ভাসছে দক্ষিণ ভারতের একাধিক জায়গা। কর্নাটকের বহু জেলায় বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের ১২ টি জেলার শুধু মানুষই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্যপ্রাণও। বন্যায় দাবাঙ্গেরে জেলার হরিহর তালুকের রাজনাহল্লির কাছে উপচে পড়া নদীর জলে প্রায় ৫০টি বানরের একটি দল কয়েকটি গাছের উপরে আটকা পড়েছিল। অত্যন্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে রাজ্যের বন বিভাগ সেই সমস্ত বানরকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

বেঙ্গালুরু: বর্ষা যেন রাশ টানছেই না লাগামে। ভাসছে দক্ষিণ ভারতের একাধিক জায়গা। কর্নাটকের বহু জেলায় বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের ১২ টি জেলার শুধু মানুষই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্যপ্রাণও। বন্যায় দাবাঙ্গেরে জেলার হরিহর তালুকের রাজনাহল্লির কাছে উপচে পড়া নদীর জলে প্রায় ৫০টি বানরের একটি দল কয়েকটি গাছের উপরে আটকা পড়েছিল। অত্যন্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে রাজ্যের বন বিভাগ সেই সমস্ত বানরকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

এই ঘটনার খবর ৬ আগস্ট সামনে আসে। তারপর থেকে রাজ্যের দমকল বাহিনী ও জরুরি বাহিনীর সদস্যরা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেই বানরদের উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেন। এমনকী তাঁরা বানরদের উদ্ধারের জন্য কয়েকটি নৌকা বন্দোবস্ত করেন। কিন্তু বানরগুলির কাছে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছিল না। নদীর স্রোত পেরিয়ে বানরগুলি নিজেরা সেখান থেকে বের হতে পারছিল না। এরপর চূড়ান্ত রাস্তাটি নেওয়া হয়। নদীর তীরে যাওয়ার জন্য দড়ি মই সংযুক্ত করা হয়। কাজে দেয় সেটি। শেষ পর্যন্ত ৯ আগস্টেই বানরগুলি ওই দড়ির মই ব্যবহার করে। মই বেয়ে তারা নদীর পাড়ে এসে পৌঁছয় আসে। পুরো উদ্ধার অভিযানটি সেটিন শেষ হয়।

 

null

একজন উদ্ধারকারী কর্মকর্তা বলেন যে তাঁরা এটিকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের প্রথম কাজটি ছিল উদ্ধারকারী নৌকা ব্যবহার করে বানগুলির কাছে পৌঁছনো। তারপর তাদের খাবার দিয়ে উদ্ধার করা। তবে জলের স্তর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বানরগুলির জন্য চিন্তিত ছিলেন তাঁরা। পরিস্থিতি এমন ছিল যে মই জলে ডুবে যেতে পারত। বানরদের ভয়ের কারণ যে অমূলক ছিল, তা নয়। তাদের বাঁচাতে মই স্থিতিশীল করতে হয়েছিল। পাথর বেঁধে সেই সমস্যার সমাধান হয়। কাজ চালানোর পাশাপাশি কৌতূহলী গ্রামবাসীদেরও ছত্রভঙ্গ করতে হয়েছিল। কারণ তারা বানরদের চলাফেরা করতে ভয় দেখাচ্ছিলেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × three =