লখনউ: উত্তর প্রদেশের ফারুকাবাদে অপহৃত ২৩টি শিশুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করল কমান্ডোর বাহিনী। প্রতিটি শিশু সুস্থ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, শিশুদের উদ্ধারের সময় সন্দেহভাজন অপহরণকারীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উত্তর প্রদেশ পুলিশের আইজি (কানপুর) মোহিত আগরওয়াল জানিয়েছেন, মৃত ব্যক্তির নাম সুভাষ বাথাম।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মেয়ের জন্মদিনে ২০টি শিশুকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন সুভাষ বাথাম। দুপুরে শিশুরা নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যেতেই তাদের পণবন্দি করে সুভাষ। দীর্ঘ সময় চলে যাওয়ার পরেও শিশুরা ঘরে ফেরে না। সন্দেহ হয় শিশুদের অভিভাবকদের। জানা যায়, শিশুদের পাশাপাশি সুভাষ গ্রামের কয়েকজন মহিলাকে বন্দি করে রাখে। গ্রামবাসীরা সুভাষের দিকে যেতে গেলে, তাঁদের লক্ষ্য করে সুভাষ বোমা ছোড়ে। শিশুদের উদ্ধার করতে হাজির হয় উত্তর প্রদেশের বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশকে লক্ষ্য করে সুভাষ বোমা ছোড়ে। পুলিশকে সে জানায়, তার কাছে ৩০ কিলো বিস্ফোরক মজুদ রয়েছে। এরপর পুলিশ সুভাষের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয় বলে জানা গিয়েছে।
শিশুদের উদ্ধার করতে বৃহস্পতিবার রাতেই জরুরি বৈঠকে বসেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরা। রাতেই বিশেষ কমান্ডো বাহিনীকে উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদের ওই গ্রামে পাঠানো হয়। ১০ ঘণ্টার অভিযানের পরেই অক্ষত অবস্থায় শিশুদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। বিশেষ কমান্ডো বাহিনীর গুলিতে সন্দেহভাজন অভিযুক্ত নিহত হন বলে জানা গিয়েছে। শিশুদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করার জন্য উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।