লখনউ: করোনার সঙ্কটজনক পরিস্থিতির মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেল ৪ দিনের শিশুকে। গত মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে। সেই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য বহু মানুষ যোগাযোগ করেছেন বলেই সংবাদসূত্রে প্রকাশ।
নয়ডার একটি রাস্তার ধারে গোলাপি রঙের টাওয়েলে মোড়া অবস্থায় এক কন্যাশিশুকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। কতদিন থেকে ওই শিশু সেখানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন, সেই সম্পর্কেও ধারণা ছিল না। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছে, ওই শিশুর বয়স মাত্র ৪ দিন। ঘটনাটি জনসমক্ষে আসতেই ১১২ নম্বরে ডায়াল করে পুলিশকে জানান তাঁরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে ওই শিশুকে। পুলিশের ওই দলের প্রধান এক মহিলা কনস্টেবল শিশুটির স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য কৈলাস হাসপাতালে ভর্তি করার নির্দেশ দেন। শিশুটির বাবা, মায়ের সন্ধান করছে পুলিশ। স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে সেই বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার কাজ চালাচ্ছে তারা।
এসএইওচও অমিত সিং জানিয়েছেন, 'প্রাথমিকভাবে অনুমান, শিশুটির জন্ম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হয়েছে। সেই অনুসারে ওই কন্যাশিশুর বাবা, মায়ের সন্ধান করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।' এই মুহূর্তে সেক্টর ১২-এর চাইল্ডলাইনে রাখা হয়েছে ওই শিশুকে। তবে এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যাওয়ার পর অনেকেই চাইল্ডলাইনে ফোন করে শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। সুরক্ষা চাইল্ডলাইনের ম্যানেজার সত্য প্রকাশ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, 'শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার বিষয়ে আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রায় ৩০ দম্পতি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন।'
চাইল্ডলাইনের তরফে সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথোরিটি-র (সিএআরএ) সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে হতে এক বছর লাগবে বলেই সংবাদসূত্রে জানা গেছে।