রসগোল্লার জন্য ৪০ ঘণ্টা রেল অবরোধ, রুট পরিবর্তন শতাধিক ট্রেনের

রসগোল্লার জন্য ৪০ ঘণ্টা রেল অবরোধ, রুট পরিবর্তন শতাধিক ট্রেনের

লখিসরাই: মিষ্টি খেতে মোটামুটি সবাই ভালোবাসে। রসগোল্লা হলে তো কথাই নেই। মিষ্টি খাওয়ার জন্য মানুষ অনেক কিছুই করতে পারে। শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে দৌড়তে পারে। রসগোল্লার জন্য প্রতিযোগিতা করতে পারে। কিন্তু তা হলে ৪০ ঘণ্টা রেল অবরোধ। হ্যাঁ এটাই সত্যি, রসগোল্লার জন্য ৪০ ঘণ্টা রেল অবরোধ হয়েছে। শতাধিক ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। বহু ট্রেন বাতিল করা হয় বলে জানা গিয়েছে। 

বিহারের লখিসরাই অঞ্চলে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানকার বাসিন্দারা বহরিয়া স্টেশনের সামনে অবরোধ করেন। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, এই বহরিয়া স্টেশনের ওপর দিয়ে বহু এক্সপ্রেস ট্রেন যায়। কিন্তু কোনও ট্রেন দাঁড়ায় না। তাঁদের দাবি বহরিয়া স্টেশনে কমপক্ষে ১০টি দূরপাল্লার ট্রেন ও এক্সপ্রেস দাঁড় করাতে হবে।  নিজেদের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা রেল লাইনে তাঁবু খাটিয়ে বসেন। বিক্ষোভ দেখান।

ঘটনার জেরে ২৪ ঘণ্টার জন্য ওই রুটের সমস্ত ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়। এরপরে ১০০টির বেশি ট্রেনের রুট বদলে দেওয়া হয়। লখিসরাইয়ের জেলা শাসক জানান, বহরিয়া স্টেশনে কোনও দূরপাল্লার ট্রেন বা এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়ায় না। যার জেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিপাকে পড়তে হয়। দূরপাল্লার ট্রেন বা এক্সপ্রেস ট্রেন থামানোর দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ করেন। ট্রেন অবরোধ করেন। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের দাবিতে সেই বিক্ষোভ উঠে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বাস দেওয়া হয়, ১৫ দিন অন্তর একটি একপ্রেস ট্রে বহরিয়া স্টেশনে দাঁড়াবে।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ৬০ দিন অন্তর অন্যান্য ট্রেনগুলো দাঁড়াবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি তো মিটল। কিন্তু এর সঙ্গে রসগোল্লার কীসের সম্পর্ক। লখিসরাই রসগোল্লার জন্য বিখ্যাত। এখানের রসগোল্লার জন্য আশেপাশের শহর বা গ্রামের মানুষ আসেন। এই অঞ্চলে ২০০টির বেশি দোকান রয়েছে। করোনা লকডাউনের জেরে এখানকার মিষ্টি ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েন। বিকল্প হিসেবে মিষ্টি বাইরে বিক্রির পরিকল্পনা করেন। বাধা হয়ে দাঁড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা। কোনও দূরপাল্লার ট্রেন বা এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়ায় না। যার জেরে ব্যবসায়ীদের পার্শ্ববর্তী শহরে বিক্রির জন্য মিষ্টি পাঠাতে বিপাকে পড়তে হয়। অনেক সময় মিষ্টি নষ্ট হয়ে যায়। তাই স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ী এক্সপ্রেস বা দূর পাল্লার ট্রেন দাঁড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেন।                                                 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × five =