নয়াদিল্লি: মুম্বই, পুণে, জয়পুর, কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি স্থানে করোনা সংক্রমণের প্রভাব অত্যন্ত বেশি বলে জানায় কেন্দ্র। দেশের ৪ মহানগরকে সোমবার ‘বিশেষভাবে উদ্বেগের’ বলে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এমনকি এই কয়েকটি শহরে লকডাউনের নিয়মে শিথিলতা থাকায় ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা। দেশের সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলার সময় ক্ষোভপ্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি জানান, ‘ কোথাও সামাজিক দূরত্বকে মানাই হয় না। বেশ কিছু শহরাঞ্চলে এখনও লকডাউনের নিয়ম ভেঙে গাড়ি চালানো হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধ করতে গেলে এই সব কিছু বন্ধ করতে হবে। লকডাউনের নিয়ম সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে।’ এত বার বলা সত্ত্বেও বেশ কয়েকটি রাজ্যে স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিত্সেক-সহ প্রথম সারিতে কাজ করা করোনা যোদ্ধাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে মানবিক ব্যবহার করা হচ্ছে না।
‘বিশেষভাবে উদ্বেগের’ পরিস্থিতি রয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর, মুম্বই, মহারাষ্ট্রের পুণে, রাজস্থানের জয়পুর, কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণা, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও পশ্চিমবঙ্গের আরও কয়েকটি স্থানে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও জানায়, ‘যে সব জায়গায় লকডাউনের বিধি ভাঙা হচ্ছে তা নজরে রাখা হচ্ছে। তবে সেই অঞ্চলের মানুষের জন্য তা আতঙ্কের পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’ এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে ছয়টি দল গঠন করা হয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রকের সদস্যদের নিয়ে। এই দলগুলি প্রধানত মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে কাজ করবে।
জানা যায়, ‘এই দলগুলির কাজ হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে প্রত্যহ রিপোর্ট দেওয়া। লকডাউনের নিয়ম মেনে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ করা। সামাজিক দূরত্ব মানতে বাধ্য করা। পাশাপাশি তারা সেই শহরের স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিত্স কদের সুরক্ষার প্রতিও নজরে রাখবেন। এমনকি দুস্থদের ত্রাণও বিলি করা হবে।’ পশ্চিমবঙ্গে আসছে কেন্দ্রের দুই প্রতিনিধি দল। তাঁরাই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে কেন্দ্রকে। এই দুই দলে থাকবে ৫ জন করে সদস্য়। মোটের ওপর শুধু নির্দেশিকা জারি করে নয়। হাতে কলমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মাঠে নামছে কেন্দ্র।
অন্যদিকে, হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত বেশ কয়েকটি জেলায় নতুন করে সংক্রমণের খবর না মেলায় কিছুটা স্বস্তি। মণিপুরকে ‘করোনামুক্ত’ রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ছিলেন মাত্র দু’জন। তাঁরা সম্পূর্ণ সুস্থ, নতুন করে আক্রান্তের খবর নেই। টুইটারে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীও এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিকে ‘করোনামুক্ত’ বলে ঘোষণা করেছিলেন।