নয়াদিল্লি: সরকারি হিসেবের খাতা থেকে কার্যত উধাও ৪ কোটি কোভ্যাক্সিন টিকা। কিন্তু কী করে? সারা দেশে যখন টিকার আকাল পড়েছে, এমন পরিস্থিতি যাতে বিদেশ থেকে টিকা আনানোর ব্যবস্থা করতে হচ্ছে, তখন সরকারের হিসেব থেকেই হাপিস হয়ে গেল ৪ কোটি টিকা! সরকারি হিসেবে, গোটা দেশে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ২ কোটি ১০ লক্ষ টিকা ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই সংখ্যাটা ৬ কোটিরও বেশি। সে ক্ষেত্রে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে ৪ কোটি টিকার।
রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে ভারত বায়োটেকের কর্ণধার কৃষ্ণা এল্লা জানিয়েছিলেন, তাদের কাছে ২ কোটি টিকা মজুত রয়েছে। আবার, ২০ এপ্রিল ভারত বায়োটেক জানিয়েছিল, তারা মার্চের শেষে দেড় কোটি ও এপ্রিলের শেষে ২ কোটি টিকা উৎপাদন করেছে সংস্থা। মে মাসেও ৩ কোটি টিকার উৎপাদন হবে, এমনটাই জানিয়েছিল ভারত বায়োটেক। প্রতি মাসে ২ কোটি টিকা উৎপাদন করার কথা আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্র। যদি মে মাসে ৩ কোটির মাত্রা নাও অতিক্রম করে সংস্থা তাও ২ কোটির উৎপাদন ধরে হিসেব করলে ভারত বায়োটেকের মোট সাড়ে ৭ কোটি উৎপাদন করার কথা। তার সঙ্গে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসেরও কম করে ৫০ লক্ষ টিকা উৎপাদন যোগ করলে সংখ্যাটা হয় ৮ কোটি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার বলছে এখনও পর্যন্ত ২ কোটি ১০ লক্ষ টিকা ব্যবহার হয়েছে। তাহলে এখন প্রশ্ন, বাকি কোভ্যাক্সিন টিকা গেল কোথায়?
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট ৬ কোটি ৬০ লক্ষ কোভ্যাক্সিন ভারত বাইরের দেশে রপ্তানি করেছে। তবে তার মধ্যে অধিকাংশই কোভিশিল্ড। যদি ২ কোটি কোভ্যাক্সিনও থাকে তাহলেও ৬ কোটি টিকা রয়ে যাওয়ার কথা। তার উপর এখনও পর্যন্ত ২ কোটি ১০ লক্ষ মানুষকে কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে এখনও ৪ কোটি টিকার হাতে থাকার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্যে রাজ্যে এখনও টিকার চাহিদা চরমে। চাহিদা অনুযায়ী টিকার জোগান দিতে পারছে না কেন্দ্র। বাইরের দেশ থেকে টিকা আমদানি করতে হচ্ছে। তার মধ্যেই এই ৪ কোটি টিকার খোঁজ না মেলা নিয়ে প্রশ্নের ঝড় বইছে বিভিন্ন মহলে।