নয়াদিল্লি: চিনের করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়েই ভারত সরকার আগেভাগে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। বিগত কয়েক দিনের মধ্যে দেশের বাড়ান হয়েছে করোনা পরীক্ষা। বিশেষ করে দেশে আসা পর্যটকদের দিকে নজরদারি বাড়ান হয়েছে। বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু তাতে চিন্তার এক তথ্য সামনে এল। জানা গিয়েছে, মাত্র ২ দিনেই বিদেশ থেকে ভারতে আসা ৩৯ জন বিমানযাত্রী কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। এটা নতুন করে আশঙ্কা বাড়িয়েছে কেন্দ্রের।
আরও পড়ুন- ৮-১০ ফুট পুরু বরফের আস্তরণ রাস্তায়! ‘বম্ব সাইক্লোন’ প্রাণ কাড়ল বহু মানুষের
দেশের কোভিড পরিস্থিতি যে আগের মতো খারাপ পর্যায়ে যেতে পারে তার একটি আশঙ্ক আছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন তেমনটা হবে না কারণ, দেশের মানুষের মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি আছে এবং অধিকাংশ মানুষ টিকাও নিয়েছেন। কিন্তু মাত্র ২ দিনে এতজন মানুষের কোভিড পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে আতঙ্ক বৃদ্ধি করছে। যদিও এতেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে দাবি করা হচ্ছে গবেষকদের একাংশের তরফ থেকে। কারণ তথ্য অনুসারে, এখনও পর্যন্ত ভারতে কোভিডের ২০০টি প্রতিরূপের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে বিএফ.৭। কিন্তু পরিস্থিতি এখনও হাতের বাইরে যায়নি। ভবিষ্যতেও যাবে না বলেই আশা।
এদিকে চিনের মতো অবস্থা ভারতের না হওয়ার পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলেও দাবি করেছেন দেশের কোভিড প্যানেলের প্রধান। তাঁর কথায়, চিনের লাগাম ছাড়া সংক্রমণের জন্য ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭-কেই দায়ী করা হচ্ছিল। তবে শুধুমাত্র তার জন্য এই অবস্থা নয়। আরও বেশ কয়েকটি ভ্যারিয়েন্টও সে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী। অর্থাৎ, চিনে এখন করোনা ভাইরাসের প্রজাতির ‘ককটেল’ হয়ে গিয়েছে।